বিনোদন ডেস্ক: গ্রীষ্মের এই প্রচণ্ড তাপদাহেও পয়লা বৈশাখে বর্ণিল উৎসবে মেতেছে দেশ। ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে উঁকি দিয়েছে নতুন সূর্য। স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়ে উৎসবে শামিল হয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে তারকারাও। সেই দলের একজন হলেন জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে জানিয়েছেন শুভকামনা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে তোলা একটা ছবি শেয়ার করে সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী বলেন, সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ। নতুন বছর সবার জন্য মঙ্গল বয়ে আনুক। জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে আমরা সবাই বাঙালি। ধর্মীয় ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে সম্প্রীতির বন্ধন অটুট থাকবে- এমন প্রত্যাশা চঞ্চলের। তিনি বলেন, ‘এই বন্ধন চির-অটুট থাকুক। আমার সোনার বাংলা। আমি তোমায় ভালোবাসি। ’
অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রাণের উৎসব বর্ষবরণ। বাংলা বর্ষবরণে বাঙালির নানা আয়োজনের মধ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা অন্যতম। গত তিন দশক ধরে প্রতিবছরই পহেলা বৈশাখে চারুকলার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হচ্ছে। ২০১৬ সালে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পায় এই শোভাযাত্রা।
সম্প্রতি ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বন্ধে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকার জেলা প্রশাসক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিনকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। এরপর থেকে বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়েও সামাজিকমাধ্যমে সরব হয়েছিলেন চঞ্চল চৌধুরী।
ওই সময় এক পোস্টে এই অভিনেতা বলেছিলেন, ‘পহেলা বৈশাখ’ কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের উৎসব নয়। বাঙালির প্রাণের উৎসব। সকল ধর্মের, সকল মানুষের উৎসব। বাংলা বছরের প্রথম দিনে সবাই একত্রিত হয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে দেশের মানুষের মঙ্গল কামনা করে। এখানে অংশগ্রহণ যার যার নিজস্ব ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু বিরোধীতা কাম্য নয়।
You must be logged in to post a comment.