বাংলাদেশ সময় সোমবার (১১ মার্চ) ভোরে আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটােরে বসেছিল একাডেমি অ্যাওয়ার্ডস তথা অস্কারের ৯৬তম আসর। এদিন হলিউডের ভালো-মন্দ—দু’দিকই প্রকাশিত হয়েছে। প্রশংসিত দিক যেমন রয়েছে, তেমনি কিছু বিতর্কও উসকে দিয়েছে। এবারের অস্কারে আলোচনার খোরাক হয়ে উঠেছেন ৪৬ বছর বয়সী রেসলার-অভিনেতা জন সিনা। না, তিনি কোনো পুরস্কার জিতেননি, তবে এমন এক মুহূর্ত তৈরি করেছেন, যা দ্রুতই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। কারণ, নগ্ন হয়ে মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন তিনি।
তবে জন সিনা এ সময় পুরো বিবস্ত্র ছিলেন কিনা, সেই বিষয়টি জানা গেছে ব্যাকস্টেজের কিছু ছবি প্রকাশ্যে আসায়।
মূলত সেরা কস্টিউম পুরস্কার ঘোষণা করতে গিয়েই এ কাণ্ড করেছেন জন সিনা। মঞ্চে তাঁকে ডেকে নিয়েছিলেন উপস্থাপক জিমি কিমেল। তখনই বিবস্ত্র অবস্থায় মঞ্চে আসেন জন। লজ্জা নিবারণের জন্য হাতে একটি বড় আকারের খাম ছাড়া কিছুই ছিল না। আর পায়ে ছিল স্যান্ডেল, হাতে একটি ঘড়ি।
মঞ্চে সিনাকে সম্পূর্ণ নগ্ন মনে হয়েছিল, তবে ব্যাকস্টেজের ছবি বলছে—ঘটনা ভিন্ন। এ সময় চামড়ার মতো দেখতে এক ধরনের প্রতিরক্ষামূলক পোশাক পরেছিলেন জন সিনা, যা তাঁর সামনে ও পিছনে উভয়ই ঢেকে রেখেছিল। তিনি যদি খামটি ফেলে দিতেন বা অন্য কোনো বিপত্তি ঘটতো, নিজেকে প্রকাশ করার ক্ষেত্রে তবুও কোনো ঝুঁকি ছিল না।
জন সিনা মঞ্চে ওঠার সময় উপস্থাপক জিমি কিমেল বলছিলেন, ‘আপনি কি ভাবতে পারেন, এই মুহূর্তে যদি একজন উলঙ্গ ব্যক্তি মঞ্চজুড়ে দৌড়ে যায়, এটা কি পাগলামি হবে না?’ ঠিক তখনই মঞ্চের এক কোণে উঁকি দেন জন। মূলত কস্টিউমের গুরুত্ব বোঝাতেই এভাবে মঞ্চে আসেন তিনি। উঠেই কিছুক্ষণ পর বললেন, ‘পুরুষের শরীর কোনো রসিকতা নয়!’ এ সময় কিমেল বলেন, ‘আসলেই কস্টিউম খুবই গুরুত্বপূর্ণ!’
এসব আলাপচারিতার পরেই সেরা কস্টিউমের জন্য ইয়োর্গস লান্থিমোসের ‘পুওর থিংস’-এর নাম ঘোষণা করা হয়।
প্রসঙ্গত, এ ধরনের ঘটনা দর্শকদের ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল আরও ৫০ বছর আগে। মূলত ১৯৭৪ রবার্ট ওপেল নামে পরিচিত একজন স্ট্রিকার একাডেমি অ্যাওয়ার্ডের মঞ্চজুড়ে শান্তির চিহ্ন প্রকাশ করার সময় এভাবেই দৌড়েছিলেন। এবার ঠিক সেটারই পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।
You must be logged in to post a comment.