দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর চলে গেলেন তিনশতাধিক সিনেমার ভারতীয় অভিনেত্রী কণকলতা (৬৩)। সোমবার (৬ মে) তিরুবনন্তপুরমে নিজের বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কণকলতা।
জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে (২০২১ সাল থেকে) ডিমেনশিয়া এবং পারকিনসন্স রোগে ভুগছিলেন তিনি।
কণকলতা সিনেমা ছাড়াও টেলিভিশন সিরিয়ালে অভিনয় করে দর্শকপ্রিয়াতা লাভ করেন। কোল্লাম জেলার ওচিরাতে জন্মগ্রহণ করেন মালয়ালাম সিনেমার এ খ্যাতিমান অভিনেত্রী। মালয়ালম এবং তামিল ভাষায় ৩০০টিরও বেশি সিনেমা এবং বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় টেলিভিশন সিরিয়ালে কাজ করেছেন।
ছোটবেলায় মঞ্চে অভিনয় দিয়েই কণকলতার হাতেখড়ি। আর স্টেজই ছিল তার পরিবারের আয়ের উৎস। শৈশবে খুবই আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে জীবন কাটিয়েছেন তিনি।
পরিচালক পিএ ব্যাকার মঞ্চে কণকলতার অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়ে নিজের সিনেমায় কাস্ট করেন। ‘উনারথুপাত্তু’ সিনেমায় মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। যদিও দুর্ভাগ্যবশত সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়নি। কিন্তু এ সিনেমার একজন প্রযোজক লেনিন রাজেন্দ্রন পরে নিজের বানানো সিনেমায় কণকলতাকে কাস্ট করেন। ১৯৮২ সালে ‘চিল্লু’ সিনেমাতেই কণকলতার প্রথম বড়পর্দায় অভিষেক ঘটে।
আশির দশকে যখন দূরদর্শন টেলিভিশন সিরিয়াল সম্প্রচার শুরু করে, তখন তিনি ‘টওরু পুভিরিয়ুনুট’ নামের একটি সিরিয়ালে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করতেন। এটি খুব তাড়াতাড়ি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে যায়। ১৩ পর্বের এ সিরিয়াল সেই সময়ে কেরালার ঘরে ঘরে মানুষ দেখতে শুরু করেন। ফলে দর্শকদের ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছিলেন অভিনেত্রী। পরে নব্বইয়ের দশকে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় মেগা সিরিয়ালের অংশ হয়ে ওঠেন কণকলতা।
তাছাড়া একাধিক সিনেমায় প্রধান চরিত্রগুলোর বোন বা মা হিসেবে অভিনয় করতে থাকেন কণকলতা। তার উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে, ‘কিরীদাম’, ‘কৌরাভার’, ‘হরিকৃষ্ণানস’, ‘বন্ধুক্কল সাথরুক্কল’, ‘চেঙ্কোল’, ‘স্পাডিকাম’, ‘আদ্যাথে কানমানি’ এবং ওরু ‘যথরমোঝি’।
অসুস্থতার কারণে শেষের দিকে কাজের সংখ্যা তার কমে যেতে থাকে। কণকলতার শেষ সিনেমা ‘পুক্কালাম’ ২০২৩ সালে মুক্তি পায়। এটি নির্মাণ করেছেন সে গণেশ রাজ। রাজ্যের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী সাজি চেরিয়ান তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
You must be logged in to post a comment.