প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চলচ্চিত্র একটি দেশের ইতিহাস ধরে রাখে। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বমানের চলচ্চিত্র নির্মাণের আহ্বানও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, বিনোদনের ক্ষেত্র যাতে আরো বিস্তৃত হয়, সেই চেষ্টা চলছে। চলচ্চিত্র সুস্থ বিনোদন দিতে পারে। সমাজকে বদলাতে পারে। এফডিসিকে আধুনিক মানে গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশের কলাকুশলীরা যাতে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মত চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে পারে সেটাই প্রত্যাশা। দেশের অঙ্গন ছাড়িয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র বিদেশেও সমাদৃত হোক।
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সিনেমাপ্রেমী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুখ্যাতি সর্বজন জ্ঞাত। এর প্রমাণ আরও একবার এলো সামনে। চলচ্চিত্রের সুখস্মৃতির সঙ্গে একটা আফসোসও জানালেন তিনি। বললেন, ‘আমার একটাই দুঃখ, হলে গিয়ে সিনেমা দেখা হয় না।’
তবে তাতে বাদ যায় না ছবি দেখা। বলেন, ‘এবার তো সাউথ আফ্রিকা যাওয়ার সময় পরপর দুটি বাংলা সিনেমা দেখলাম। আমার তো ধারণা, বিমানে যত ছবি আছে দেখা হয়ে গেছে। এ ছাড়া অনেকে পেনড্রাইভ পাঠালে তখন দেখি।’
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে ব্যস্ত জীবনের গল্প এভাবেই তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী।
স্বভাবসুলভ রসিক বাক্যও ছিল প্রধান অতিথির বক্তব্যে। যা শুনে অতিথিদের আসনে বসা অনেকেই হেসে লুটোপুটি। প্রধানমন্ত্রীর ভাষ্য, ‘দেশে ১৭ কোটি মানুষ। তাঁদের জন্য কাজ করে, রিপোর্ট পড়ে আর ফাইল দেখতে দেখতে দিন পার হয়ে যায়। এত পড়া যে পড়তে হবে এই বৃদ্ধ বয়সে—তা ভাবিনি। ছোটবেলায় যদি এত পড়তাম সত্যি ফার্স্ট হতাম।’
প্রধানমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে ২৭টি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২২ প্রদান করেন।
এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ‘ওরা ১১ জন’ খ্যাত বিশিষ্ট অভিনেতা কামরুল আলম খান খসরু ও বিশিষ্ট অভিনেত্রী রওশন আরা রোজিনা, যিনি ‘রোজিনা’ নামে পরিচিত, চলচ্চিত্র শিল্পে তাঁদের অসামান্য অবদানের জন্য ২০২২ সালে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতার ছোট কন্যা এবং প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবির খন্দকার।
You must be logged in to post a comment.