মাদক ও মানব পাচারের অভিযোগ নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয়ে প্রথমে ফোন করা হয় বহুল পরিচিত এক মডেলকে। এতে স্বাভাবিকভাবেই চমকে যান ওই মডেল। কেননা, তাকে বলা হয়―মডেলের নামে নাকি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
এমনটাই ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের মডেল শিবাঙ্কিতা দীক্ষিতার সঙ্গে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রেপ্তার এড়াতে চাইলে অর্থ বিনিময় করারও প্রস্তাব দেয়া হয়। একপর্যায়ে ওই হুমকিদাতাদের অর্থ দিতে সম্মতি জানান মডেল শিবাঙ্কিতা। যার পরিমাণ ছিল প্রায় লাখ টাকা।
এ ঘটনায় বুধবার (৪ ডিসেম্বর) পুলিশের কাছে বিস্তারিত জানিয়েছেন মডেল শিবাঙ্কিতা। তিনি জানান, তাকে ২ ঘণ্টার জন্য ডিজিটালি অ্যারেস্ট করে রেখেছিল সাইবার অপরাধীরা।
উল্লেখ্য, ডিজিটালি অ্যারেস্ট হচ্ছে সাইবার ক্রাইমের একটি নতুন পদ্ধতি বা ধরন। এ ক্ষেত্রে অপরাধীরা বা অভিযুক্তরা তাদের ইডি, সিবিআই বা কাস্টম কর্তকর্তা দাবি করে বা পরিচয় দিয়ে ভয় প্রদর্শন করে যে, আপনার নামে আন্তর্জাতিক পার্সেল এসেছে বা মাদক পাওয়া গেছে আপনার নামে আসা পার্সেলে। এছাড়া অর্থ প্রতারণার মামলায় নাম জড়ানোর কথাও বলা হয়।
এ ক্ষেত্রে উত্তর প্রদেশের এই মডেল জানিয়েছেন, হোয়াটসঅ্যাপে একটি ফোন পান তিনি। তাতে বলা হয়, তিনি নাকি মাদক এবং মানব পাচারের মাধ্যমে অবৈধভাবে আয় করছেন। সিবিআই পরিচয় দিয়ে মডেলকে তারা নির্দেশ দেন যে, ৯৯ হাজার টাকা পাঠাতে হবে এখনই। তা না হলে গ্রেপ্তার করা হবে তাকে।
অর্থ প্রদানের পর মডেল বুঝতে পারেন, সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়েছেন তিনি। পরে বিষয়টি পরিবারকে জানান। তারপর থানায় এফআইআর দায়ের করেন। আর আপাতত তদন্তাধীন রয়েছে মামলাটি।
You must be logged in to post a comment.