বাংলার ইতিহাসের ঘৃণিত নারী ঘষেটি বেগম ফিরে এসেছেন অরুণা বিশ্বাস হয়ে। একসময়ের জনপ্রিয় এই নায়িকা স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে এমন কুৎসিত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হবেন, তা কেউ ভাবতে পারেননি। ‘আলো আসবেই’ নামে গোপন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে গণহত্যার ইন্ধন জুগিয়েছেন। সেখানে সক্রিয় ছিলেন ১৬০ জন ব্যক্তি। যাদের মধ্যে অভিনয়শিল্পী, সাংবাদিক, নির্মাতা ও দুই মন্ত্রীর নামও দেখা গেছে।
সত্য কখনও গোপন থাকে না। দেশের পটপরিবর্তনের পর সেই গ্রুপের স্ক্রিনশট ফাঁস হয়েছে। সেখানে সবার থেকে বেশি আগ্রাসী ভূমিকায় ছিলেন অরুণা বিশ্বাস। এক বার্তায় আন্দোলনকারীদের দমাতে গরম পানি ঢালার পরামর্শ দেন তিনি। তার এই নৃশংসতা প্রকাশ্যে আসার পর সাধারণ মানুষ চমকে উঠেছেন। সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেকে বিস্মিত হয়েছেন। মাহিয়া মাহি তাকে অমানুষ বলে ভর্ৎসনা করেছেন। আরেক নায়িকা পরিমণি ‘থু থু’ ধিক্কার দিয়েছেন। হিংস্র-লোভি বলে কটাক্ষ করেছেন।
সরকার পতনের পরেই কানাডায় পালিয়েছেন অরুণা বিশ্বাস। সেখান থেকেই দেশের একটি গণমাধ্যমকে গরম পানি ঢেলে দেয়া প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। করেছেন আত্মপক্ষ সমর্থন। তার কথায়—
আমরা কিন্তু গ্রুপে কোনো বাজে কথা বলিনি। সব সময় বলেছি ছাত্রদের সঙ্গে বসেন। কথা বলেন। আমরা তো আর নীতিনির্ধারণী কেউ না। সেখানে বলা হয়েছে হাসপাতালে আগুন। ওখানে কেউ ঢুকতে পারছে না। আমি বলেছি গরম জল দিলেই হয়। গরম জল তো কামান থেকে দেয়। জলকামান লিখি নাই আর কী! ওখানেই বোধ হয় মিসটেক হয়েছে। কামানে যে গরম জল থাকে সেটার কথা বলেছি।
শোনা যাচ্ছিল, বিটিভির ডিজি হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের তোষামোদ করতেন অরুণা বিশ্বাস। তাই হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে সমমনাদের নিয়ে গোপন মিশনে নেমেছিলেন। তবে তিনি জানালেন ভিন্ন কথা। অভিনেত্রী বলেন—
আমি বিটিভির ডিজি হতে চাই নাই। এটা তো হওয়া সম্ভব না। আমি ডিরেক্টর অব প্রগ্রাম হওয়ার জন্য বলেছিলাম আগের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীকে। উনি বলেছিলেন, এটা তো প্রধানমন্ত্রীর বিষয়। এইটুকুই। আমি আসলে কাজ করার জন্যই হতে চেয়েছিলাম।
কানাডা থেকে দেশে ফেরা প্রসঙ্গে কোনো কথা বলেননি অরুণা বিশ্বাস। তবে ধারণা করা হচ্ছে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কারণে ঢাকায় ফেরা তার পক্ষে সহজ হবে না। ফিরলেই শাস্তির মুখে পড়তে পারেন তিনি।
You must be logged in to post a comment.