১৯টা জাল আইডি ব্যবহার করে মাদক কিনতেন মাইকেল! নতুন তথ্যচিত্রে পপ সঙ্গীত তারকার মৃত্যু রহস্যে নতুন মোড়।
২০০৯ সালের ২৫ জুন। বিশ্ব জুড়ে সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছে এই দিনটি গভীর বেদনাদায়ক। এ দিনেই প্রয়াত হয়েছিলেন আমেরিকার জনপ্রিয় পপ সঙ্গীত তারকা মাইকেল জ্যাকসন।
গত ২৯ অগস্ট জন্মবার্ষিকী ছিল মাইকেলের। জীবিত থাকলে তাঁর বয়স হত ৬৪। কিন্তু যাঁর জন্য তিনি ৫০ বছর বয়সে চলে গিয়েছেন বলে মনে করেন ভক্তরা, কে সেই ব্যক্তি? প্রকাশ্যে এল তাঁর মৃত্যু সংক্রান্ত চমকপ্রদ আরও এক তথ্য। মাদক কেনার জন্য নাকি ১৯টি জাল আইডি ব্যবহার করেছিলেন গায়ক! এক নতুন তথ্যচিত্রে এমনটাই জানা গেল হঠাৎ।
সে দিন লস এঞ্জেলেসের বাড়িতে নিথর হয়ে পড়েছিলেন ৫০ বছরের মাইকেল। অ্যানেস্থেটিক প্রোপোফোলের মতো ওষুধ অতিরিক্ত মাত্রায় নেওয়ার পর তাঁর হৃদ্স্পন্দন থেমে গিয়েছিল। জানা যায়, জ্যাকসনের চিকিৎসক কনরাড মারের নির্দেশেই এই ঔষুধ খেতেন তারকা।
তাই মাইকেলের মৃত্যুকে একটি হত্যাকাণ্ড বলে রায় দেওয়া হয়েছিল, এবং মারে এর সমস্ত দায় নিয়েছিলেন। তাঁকে অনিচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ডের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। চার বছর কারাদণ্ডও হয়েছিল মারের। তবে জনরোষ, ঘৃণার হাত থেকে মুক্তি পাননি তিনি।
তদন্তে নতুন রহস্য উন্মোচন করতে চলেছে এই তথ্যচিত্র, যেখানে ধরা দেবে মাইকেলের আসল খুনি। বহু বছর ধরে মাইকেলের বিভিন্ন ওষুধের প্রতি দুর্বলতাকে চিকিৎসাজগতের অনেকেই ইন্ধন জুগিয়ে গিয়েছেন। এবং খতিয়ে দেখলে বোঝা যাবে তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী আদতে অনেকেই। এই সেপ্টেম্বরেই মুক্তি পাচ্ছে ‘টিএমজেড ইনভেস্টিগেটস: হু রিয়েলি কিলড মাইকেল জ্যাকসন’। তথ্যচিত্রে সে সব তথ্যই উঠে আসবে দর্শকের সামনে।
You must be logged in to post a comment.