সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীকে নিয়ে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
রোববার (১৮ জুন) নিজের ফেসবুকে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লিখেছেন, বাংলাদেশ মোটামুটি একটা কৌতুকের কারখানা। প্রিয়ভাজন সিনা হাসানের মারফত জানা গেল, শিল্পকলা একাডেমিতে ড্রামস ঢুকতে দেয়া হয় না। কুষ্টিয়া শিল্পকলা সিনাদের বুকিং তাই ফিরায়ে দিছে। কিছুদিন আগে কবি সৈয়দ জামিল কুমিল্লা শিল্পকলায় নোটিশ দেখছিলেন “এখানে ব্যান্ড সংগীত নিষিদ্ধ”! দেশীয় সংগীত রক্ষার কঠিন ব্রত থেকে লিয়াকত আলী লাকী সাহেবের অফিস নিশ্চয়ই এইসব কারবার করছে। যদিও মামারা হারমোনিয়াম- ভায়োলিন ঢুকতে দেয় যেনো ওসব দেশি!
ফারুকী আরও বলেন, এর আগে আমরা একবার শুটিংয়ের অনুমতি চেয়েছিলাম লেডিজ অ্যান্ড জেন্টলমেনের জন্য। তখন উনার অফিস জানিয়েছিল শিল্পকলায় শুটিংয়ের পারমিশন নাই! কারণ না বললেও বুঝতে সমস্যা হয় না, সিনেমারে আমাদের সাংস্কৃতিক নেতারা এখনও ঠিক আর্ট-কালচারের অংশ মনে করে না। যে কারণে মনে আছে, সোনার বাংলা সাংস্কৃতিক বলয়ে সিনেমার কোনো জায়গা ছিল না? সেটা নিয়ে তখন তারেক মাসুদ লিখছিলেনও কোথাও বোধ হয়। তো এইসব শিল্পকলা সাহেবরা সিনেমারে অপসংস্কৃতি মনে করেন, রক মিউজিকরে অপসংস্কৃতি মনে করেন!
ফারুকী বলেন, কিন্তু দুর্নীতি অপসংস্কৃতি না। আজীবন চেয়ার আঁকড়ে থাকা অপসংস্কৃতি না। নাকি দুর্নীতি, ক্ষমতা আঁকড়ে রাখা হাজার বছরের বাংলা সংস্কৃতির অংশ? আরেকটা কথা, লাকী সাহেব বিদেশি বা অপসংস্কৃতির মধ্যে আর কি কি ঠেকিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিছেন। উনি কি এখনও খোলা জায়গায় টয়লেট করেন নাকি বিদেশি স্যানিটারি সিস্টেম ব্যবহার করেন? মোবাইল ফোন কি এস্তেমাল করেন নাকি বিদেশি বলে নিষিদ্ধ করে রাখছেন?
ফেসবুকে তিনি আরও বলেন, গড ব্লেস বাংলাদেশি সাংস্কৃতিক লর্ডস! এরপরও কেউ যদি আপনাদের জিজ্ঞেস করে তোমরা এতো স্যাটায়ার বানাও কেন? সোজা বলে দিবেন, আমরা স্যাটায়ার বানাই না। আমরা রিয়ালিস্টিক করলেই ওইটা স্যাটায়ার হয়ে যায়।
You must be logged in to post a comment.