বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে ক্রোয়েশিয়া শিবিরে উড়ে এলো দুঃসংবাদ। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা থেকে পেনাল্টির নির্দেশনা এসেছে দেশটির বিরুদ্ধে। গতমাসে কাতারে দুই দেশের গ্রুপ-পর্বের খেলার সময় কানাডার গোলরক্ষকের সাথে ক্রোয়েশিয়ান সমর্থকদের খারাপ আচরণের জন্য বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়াকে পেনাল্টির সম্মুখীন করলো ফিফা।
ফিফা গতকাল (বুধবার) বলেছে, ২৭শে নভেম্বর কানাডার বিপক্ষে ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ান সমর্থকদের আচরণের জন্য ফিফার শৃঙ্খলা কমিটি ক্রোয়েশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনকে ৫০,০০০ সুইস ফ্রাঙ্ক জরিমানা করেছে। দোহার খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ম্যাচ চলাকালীন ক্রোয়েশিয়ান সমর্থকরা মিলান বোরজান, যিনি ক্রোয়েশিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন কিন্তু শৈশবে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিন, তাকে অপমান করার উদ্দেশ্যে একটি ব্যানার ব্যাবহার করে।
১৯৯৫ সালে ক্রোয়েশিয়ান স্বাধীনতা যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। তৎকালীন একটি সামরিক অভিযানের সময়বোরজান এবং তার পরিবার তাদের শহর ছেড়ে চলে যান। “অপারেশন স্টর্মের” পর আনুমানিক ২০০,০০০ জাতিগত সার্ব অনেকগুলি ট্রাক্টরে চেপেক্রোয়েশিয়া ছেড়ে পালিয়েছিল।
ক্রোয়েশিয়ার সমর্থকরা কানাডার বিপক্ষে ৪-১ গোলে জয়ের সময় একটি ব্যানার প্রদর্শন করে যাতে ছিল ট্র্যাক্টর প্রস্তুতকারক কোম্পানি জন ডিরের একটি ব্যানার। ব্যানারের গায়ে থাকা কোম্পানির স্লোগানটি বিকৃত করে ক্রোয়েশিয়ান সমর্থকরা নতুন স্লোগানটি বানান, “বোরজানের মতো কিছুই চলে না”। মূলত কানাডিয়ান গোলরক্ষক মিলান বোরজানকে হেয় করার জন্য ক্রোয়েশিয়ান সমর্থকরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বোরজানের নামটি পতাকায় যুক্ত করেছে।
এদিকে, ’শৃঙ্খলা কোড’ এর অনুচ্ছেদ ১৬ লঙ্ঘনের অভিযোগের প্রেক্ষিতেই ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিফা। শৃঙ্খলা কোডের অনুচ্ছেদটি হল, “একটি বার্তা প্রেরণ করার জন্য শব্দ এবং বস্তুর ব্যবহার, যা একটি ক্রীড়া আসরের জন্য উপযুক্ত নয়’।
You must be logged in to post a comment.