সেভেন আপ বললে শুরুতেই মনে পড়বে ২০১৪ বিশ্বকাপে ব্রাজিল ও জার্মানির ম্যাচের কথা। কেননা সে ম্যাচে যে ব্রাজিলকে তাদেরই মাঠে ৭-১ গোলের ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছিল জার্মানি। এক আসর পর সেই সেভেন আপের ঘটনা আবার ফিরে এলো কাতারের আল থুমামা স্টেডিয়ামে। যেখানে এবার দুই প্রতিপক্ষ হলো স্পেন ও কোস্টারিকা।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) আল থুমামা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় শুরু হয়। স্পেনের হয়ে ২ গোল পেয়েছেন ফেরান টরেস। একটি করে গোল করেছেন দানি ওলমো, মার্কো অ্যাসেনসিও, গাভি, কার্লোস সোলার ও আলভারো মোরাতা।
গ্রুপ ই থেকে নিজেদের প্রথম ম্যাচে কোস্টারিকার জালে গোল উৎসব করে স্প্যানিয়ার্ডরা। যার শুরুটা করেছিলেন দানি ওলমো। আর শেষটা করেন আলভারো মোরাতা। মাঝে এই উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন মার্কো অ্যাসেনসিও, গাভি, কার্লোস সোলার, ফেরান টরেস।
খেলা শুরুর ৫ মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল স্পেনের সামনে। কিন্তু ওলমোর করা শট বারের বাইরে দিয়ে যায়। গোল পোস্টের ৪০ গজ দূর থেকে বাম দিক দিয়ে অসাধারণ ক্রস করেন পেদ্রি কিন্তু ওলমো কাজে লাগাতে পারেননি।
২০০২ বিশ্বকাপ থেকে এই প্রথম ১১ মিনিটের মধ্যে গোলের দেখা পায় স্পেন।
ওলমোর পর অ্যাসেনসিওর গোল। ২১ মিনিটে ২-০ গোলে এগিয়ে স্পেন। প্রথম গোলের ১০ মিনিট পরেই আবার স্পেনের লিড। আলবার বাম দিক থেকে নেওয়া ক্রস থেকে নাভাসকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়ান অ্যাসেনসিও।
৩০ মিনিটে কোস্টারিকার জালে স্পেনের তিন গোল। তৃতীয় গোলটি আসে পেনাল্টি থেকে। এরপর স্পেন গোলের জন্য আরও মরিয়া হয়ে উঠে। কিন্তু বিরতির আগে আর গোল বাড়ানো সম্ভব হয়নি। তাই তিন গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় তারা।
ম্যাচের ৭৪ মিনিটে স্কোরলাইন ৫-০ করেন জাভি। এরপর স্কোরবোর্ডে নাম লেখান কার্লোস সলের ও মোরাতা। ৯০ মিনিটে করেন সলের। আর শেষ পেরেকটি মারেন মোরাতা। তাতে উৎসবের আনন্দে ভাসে স্পেন। পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করল স্প্যানিশরা।
You must be logged in to post a comment.