৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর একের পর এক হয়েছে মামলা। এতে বাদ যায়নি বিনোদন অঙ্গনের তারকাদের নাম। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আছেন তারা। আবার এমন কয়েকজন রাজনীতিতে সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকারও করেছেন। অন্যপক্ষে মামলাগুলোতে সরাসরি সম্পৃক্ততা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। দেখে নেওয়া যাক, গত এক মাসে কোন মামলায় কে আসামি হয়েছেন—
ফেরদৌস:
গার্মেন্টসকর্মী রুবেলকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে ঢাকা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদক আসামি করে মামলাটি হয় ২২ আগস্ট। মাগুরা-১ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের নামও আছে এতে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) আদাবর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন গার্মেন্টসকর্মী রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম। এর বাকি আসামিরা হলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ১৫৬ জন। এ ছাড়া অজ্ঞাত ৫০০ জনকে আসামি করা হয়। অন্যদিকে ফেরদৌসকে আরো একটি মামলায় আসামি করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে শুভ নামের এক তরুণকে হত্যার অভিযোগে ফেরদৌসসহ আরও ১৩৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জায়েদ খান, শাহরিয়ার নাজিম জয় ও সাজু খাদেম
নয় বছর আগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা করা হয়। এতে ৫০ জন আসামির মধ্যে আছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান, উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয় ও অভিনেতা সাজু খাদেম। ২৬ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবীর আদালতে শাহরিয়ার ইমান নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনাটি ঘটেছিল।
মনোয়ার হোসেন ডিপজল
ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর ধানমন্ডিতে শুভ নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগে অভিনেতা ও ব্যবসায়ী মনোয়ার হোসেন ডিপজলসহ ১৩৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। একই মামলায় নাম রয়েছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌসেরও। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারাহ দিবা ছন্দার আদালতে অভিযোগ করেন নিহতের মা রেনু। অভিযোগটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
নাসির উদ্দীন ইউসুফ
গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফের বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের মামলা করা হয়েছে ২৭ আগস্ট। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয় তাকে। মো. ইউসুফ নামের এক ব্যক্তি এটি করেছেন। মামলার এজাহারে গত ১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানাধীন উত্তর কুতুবখালি বউবাজার এলাকার মাদরাসার সামনে প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী-জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিস্ফোরক দ্রব্যের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ হুকুমে খুন এবং সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়েছে। যাত্রাবাড়ী থানায় করা এ মামলায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি হিসেবে পরিচালক নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুকে ৩৬ নম্বর আসামি করা হয়।
You must be logged in to post a comment.