দর্শকহৃদয়ে আজও অমর হয়ে আছে এ জুটি। অন্যদিকে ব্যক্তিজীবনেও বন্ধুত্ব ও ঘনিষ্ঠতা আরও বেড়েছিল এ জুটির। তাই সালমানের জন্ম ও প্রয়াণ দিবসটি এ নায়িকার কাছে বিশেষ। এবার সালমান শাহের ২৭তম প্রয়াণ দিবসে স্মরণ করেছেন ঢালিউডের একসময়ের এ শীর্ষ নায়িকা। সোশ্যাল মিডিয়ায় শাবনূর লিখেছেন, ‘কোথায় হারিয়ে গেলে সালমান? তোমার স্মৃতিগুলো আজও আমায় কাঁদায়।’
চলচ্চিত্রের বরপুত্র সালমান শাহের মোট ২৭টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছিল। দুয়েকটা বাদে যার সবই ছিল সুপার হিট। এর মধ্যে ১৪টিতেই জুটি বেঁধে অভিনয় করেছিলেন নায়িকা শাবনূরের সাথে।
সালমান শাহর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার সঙ্গে ফ্রেমবন্দি তিনটি ছবি পোস্ট করেছেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী শাবনূর। সালমান শাহর আত্মার শান্তি কামনা করে তিনি বলেছেন, ‘অমর নায়ক সালমান শাহর মৃত্যুবার্ষিকী আজ (৬ সেপ্টেম্বর)। দীর্ঘ ২৭ বছর পর এখনও তাকে ভুলতে পারেনি চলচ্চিত্রাঙ্গনের মানুষ ও তার সমর্থকেরা। যেখানে আছো, ভালো থেকো স্বপ্নের নায়ক। তোমার মাগফেরাত কামনা করছিউল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় সালমান শাহ’র রহস্যমৃত্যু ঘটে। সেই রহস্যের জট এখনও খোলেনি। দফায় দফায় তদন্ত, প্রতিবেদন দাখিল হয়েছে। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি নায়কের পরিবার কিংবা ভক্তরা। কারণ সেসব প্রতিবেদনে বরাবরই বলা হয়েছে, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন।
সালমান শাহ’র জন্ম ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর, সিলেটের দড়িয়াপাড়ায়। তার পারিবারিক নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। সিনেমার জন্যই তিনি সালমান শাহ নামটি ধারণ করেছিলেন।
সালমান শাহর ছবির তালিকায় আছে- ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ (১৯৯৩), ‘তুমি আমার’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘সুজন সখী’, ‘বিক্ষোভ’, ‘স্নেহ’, ‘প্রেম যুদ্ধ’ (১৯৯৪), ‘কন্যাদান’, ‘দেনমোহর’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘আঞ্জুমান’, ‘মহামিলন’, ‘আশা ভালোবাসা’ (১৯৯৫), ‘বিচার হবে’, ‘এই ঘর এই সংসার’, ‘প্রিয়জন’, ‘তোমাকে চাই’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘সত্যের মৃত্যু নেই’, ‘জীবন সংসার’, ‘মায়ের অধিকার’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’ (১৯৯৬), ‘প্রেমপিয়াসী’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘শুধু তুমি’, ‘আনন্দ অশ্রু’ ও ‘বুকের ভেতর আগুন’ (১৯৯৭)।
You must be logged in to post a comment.