গত বছর হঠাৎ করেই ডিভোর্সের ঘোষণা দেন বলিউড তারকা আমির খান ও কিরণ রাও। বলিউডে আদর্শ দম্পতি হিসেবে খ্যাতি থাকলেও তাদের বিচ্ছেদের ঘোষণায় হতবাক হয়ে পড়েন শুভাকাঙ্ক্ষীরা। কেউই বুঝতে পারেননি বিষয়টি কি হলো। তবে বরাবরই বিচ্ছেদের কারণ জানার আগ্রহ ছিল সবার।
কিরণের সঙ্গে বলি নায়কের বিচ্ছেদ হলেও একসঙ্গে দেখা গেছে তাদের। তারা এখন স্বামী-স্ত্রী না হলেও বন্ধুত্বের বাধন ঠিকই মজবুত রয়েছে। এ কারণেই এখনো আমিরের পরিবারে কিরণ! এবার তার সঙ্গে বিচ্ছেদের বিষয়ে কথা বলেছেন আমির খান।
বুধবার (৩ আগস্ট) হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করণ জোহরের ‘কফি উইথ করণ’ মঞ্চে কথা বলেছেন বলি অভিনেতা। ‘লাল সিং চড্ডা’ সিনেমার কো-আর্টিস্ট কারিনা কাপুরের সঙ্গে হাজির হয়েছিলেন তিনি। সেখানে আলাপচারিতায় নায়ক বলেন, কিরণের সঙ্গে সম্পর্কের মাঝে এক মুহূর্তের জন্যও তিক্ততা আসেনি। তার কথায়, আমার সাবেক দুই স্ত্রীর জন্য মনে প্রচুর শ্রদ্ধা ও সম্মানবোধ রয়েছে। আমরা সব সময় একই পরিবার থাকব।
আমির খান কিরণের আগে রিনা দত্তের সঙ্গে সংসার করেছিলেন। তাদের দুই সন্তান ইরা ও জুনায়েদ। আর আমির-কিরণ সংসারে এক পুত্র আজাদ। তারা একসঙ্গে ছেলের দেখভাল করছেন।
অনেকে মনে করেন সাবেকদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না আমির খানের, কিন্তু বিষয়টি তা নয় বলে দাবি তার। বলেন, শত ব্যস্ততার মধ্যেও সপ্তাহে একদিন সবাই একসঙ্গে সময় কাটান। তাদের সুখ-দুঃখ ভাগ করে নেন। একে অপরের প্রতি যে ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও সম্মান তা আন্তরিক।
প্রসঙ্গত, গত বছরের জুলাইয়ে যৌথভাবে ডিভোর্সের ঘোষণা দিয়েছিলেন আমির-কিরণ। তখন তারা জানিয়েছিলেন, একসঙ্গে কাটানো গত ১৫ বছরে সুন্দর অভিজ্ঞতা, হাসি-আনন্দ ভাগ করে নিয়েছেন তারা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিশ্বাস, সম্মান ও ভালোবাসা বেড়েছে। তারা জীবনে নতুন একটি অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছেন, যেখানে স্বামী-স্ত্রী নয়, তবে মা-বাবা থাকবে এবং অবশ্যই একে অপরের পরিবার থাকবে।
এই জুটির প্রথম কথা হয় লাগানের সেটে। ২০০৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিয়ে করেন তারা। বিয়ের ছয় বছর পর তাদের জীবনে একমাত্র সন্তান আজাদ রাও খানের জন্ম হয়।
You must be logged in to post a comment.