মার্শাল আর্ট কিংবদন্তি অভিনেতা ব্রুস লি ১৯৭৩ সালের ২০ জুলাই হংকংয়ের কাউলুন টংয়ে মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৩২ বছর। মৃত্যুর পরে মৃত্যুরহস্য নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা ব্যাখ্যা এসেছে। তবে এবার মৃত্যুর অর্ধশতাধিক পরে নতুন করে মৃত্যুর কারণ আলোচনায় এসেছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, এক গবেষণায় বলা হয়েছে, অতিরিক্ত পানি পানের কারণে হয়তো মৃত্যু হয়েছিল ব্রুস লির। স্পেনের একদল গবেষক বলছেন, তার সেরিব্রাল ইডিমার কারণ সম্ভবত হাইপোন্যাট্রিমিয়া। আর এই গবেষণাটি চলতি বছরের ডিসেম্বর ইস্যুতে ক্লিনিক্যাল কিডনি জার্নালে প্রকাশ হয়েছে।
ব্রুস লির মৃত্যুরহস্য নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন তত্ত্ব সামনে এসেছে। এর মধ্যে আলোচনায় ছিল গ্যাংস্টারদের দ্বারা হত্যার শিকার হয়েছেন কিনা কিংবা প্রেমিকা ইর্ষান্বিত হয়ে বিষ প্রয়োগ করেছেন কিনা।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিনেতার হাইপোন্যাট্রিমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, সাধারণত গাঁজা সেবনে মানুষের তৃষ্ণা বাড়ে। এতে পানি পানের মাত্রাও বেড়ে যায়। এছাড়া কোনো ওষুধ বা অ্যালকোহলের ব্যবহার কিডনির পানি নিষ্কাশন ক্ষমতা হ্রাস করতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
তবে গবেষকরা সবশেষ মনে করছেন, ব্রুস লির মৃত্যুর কারণ নির্দিষ্ট কিডনি জটিলতা। ফলে শরীর থেকে পানি বের করার ক্ষমতা হারিয়ে গিয়েছিল। যা হাইপোন্যাট্রিমিয়ার কারণ ঘটনায়। এ থেকে মস্তিষ্ক ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা হয়ে থাকে। আবার অতিরিক্ত পানি পানের পর শরীর থেকে সেই অনুযায়ী পানি নির্গমন না হলে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর এসব কারণ ব্রুস লির মৃত্যুর সময়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
প্রসঙ্গত, ১৯৪০ সালের ২৭ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর চায়নাটাউনে জন্ম ব্রুস লির। ‘গোল্ডেন গেট গার্ল’ সিনেমায় শিশু বয়সে অভিনয় করে পর্দায় অভিষেক করেন তিনি। আর ১৮ বছর হওয়ার আগেই ক্যারিয়ারে ২০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেন। মার্শাল অ্যার্টে বেশ দক্ষ ছিলেন। হলিউডের সিনেমায় পাশ্বচরিত্রে অভিনয় করে হংকংকে সম্ভাবনাময়ী ভেবেছিলেন। কিন্তু সেখানে বসবাস শুরু করার মাত্র দুই বছরের মাথায় মৃত্যু হয় অভিনেতার।
You must be logged in to post a comment.