কাহিনীচিত্রটি রচনা করেছেন রচনা: সহিদ রাহমান এবং পরিচালনা করেছেন ফরিদ উদ্দিন মোহাম্মদ। অভিনয় করেছেন, ফজলুর রহমান বাবু, তারিন জাহান, সাবেরী আলম, সাবিহা জামান, শিশু শিল্পী দিহান, শিশু শিল্পী সানজিদ সহ প্রমুখ। কাহিনী সংক্ষেপ: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেলকেও হত্যা করেছিল ঘাতক খুনিচক্র। সপরিবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ ইতিহাসের সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনা। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের সেই কালরাতে বঙ্গবন্ধুর পাশাপাশি তাঁর ছোট ছেলে শিশু রাসেলকে যখন হত্যা করা হয়, তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর। ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ছিল। নিষ্পাপ ও নিরপরাধ এই শিশুকে হত্যা করতেও সেদিন ঘাতক খুনিদের বুক কাঁপেনি।মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাঁকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা মানব ইতিহাসের অন্যতম মর্মস্পর্শী হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকবে।জাতির জনকের আত্মস্বীকৃত খুনিরা শেখ রাসেলকে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল।কবির ভাষায় যদি বলি “শিশু হত্যার বিক্ষোভে আজ কাঁদুক বসুন্ধরা” অথবা “শিশুকেও মাতৃক্রোড়ে হত্যা করে বধ্য রাজনীতি, এ ও কি মানুষ করে?” কিন্তু ইতিহাসের গতিধারায় তাদের সেই অপচেষ্টা শতভাগ ব্যর্থ হয়েছে।শহীদ শেখ রাসেল আজ দেশের শিশু, কিশোর, তরুণ এবং শুভ বুদ্ধিবোধসম্পন্ন মানুষের কাছে গভীর এক ভালোবাসার নাম। অবহেলিত,পশ্চাৎপদ ও অধিকারবঞ্চিত শিশুদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ জনপদ লোকালয়ে শেখ রাসেল আজ এক মানবিক সত্তায় পরিণত হয়েছে। আজ থেকে ৪৭ বছর আগে শিশু শেখ রাসেলের মৃত্যু হলেও তিনি বেঁচে আছে এ দেশের প্রত্যেক মানুষের হৃদয়ে।মৃত্যুর আগে শিশু শেখ রাসেলের কান্নাজড়িত কন্ঠে শেষ কথা ছিল “আমি মায়ের কাছে যাবো”। কাহিনীচিত্রটি আরটিভিতে ১৫ আগষ্ট সোমবার প্রচার হবে রাত ৮টায়।
You must be logged in to post a comment.