চলছে কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৭তম আসর। এবার সম্মানসূচক ‘স্বর্ণপাম’ পেয়ে ইতিহাস গড়েছে জাপানের স্টুডিও জিবলি। প্রথমবারের মতো কোনও প্রতিষ্ঠানকে সম্মানসূচক এ পদক দেওয়া হলো।
স্টুডিও জিবলি চার দশকের বেশি সময় ধরে অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছে। সব বয়সী দর্শকদের মুগ্ধ করে আসছে তারা। স্টুডিও জিবলি’র তিন প্রতিষ্ঠাতা হায়াও মিয়াজাকি, ইসাও তাকাহাতা ও তোকুমা শোতেন। তাদের মধ্যে ইসাও তাকাহাতা মারা গেছেন।
গতকাল ২০ মে বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে স্টুডিও জিবলি, জিবলি মিউজিয়াম ও জিবলি পার্কের পক্ষ থেকে সম্মানসূচক এ স্বর্ণপাম গ্রহণ করেন হায়াও মিয়াজাকির ছেলে গোরো মিয়াজাকি। মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের বিচারক প্যানেলে থাকা স্প্যানিশ পরিচালক হুয়ান আন্তোনিও বায়োনা তার হাতে এটি তুলে দেন ।
উৎসব পরিচালক থিয়েরি ফ্রেমো বলেন, ‘আমরা জাপানি অ্যানিমেশনে বুঁদ হয়ে আছি। এর অন্যতম কারণ স্টুডিও জিবলি। প্রথমবারের মতো ইরিস নোব্লোক ও আমি কোনও সৃজনশীল ব্যক্তির পরিবর্তে একটি স্টুডিওকে সম্মানসূচক স্বর্ণপাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি!’
কান চলচ্চিত্র উৎসবের সর্বোচ্চ পুরস্কার স্বর্ণপাম। মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে নির্বাচিত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে একটিকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এছাড়া ২০১৫ সাল থেকে কান উৎসবের প্রতিটি আসরে দেওয়া হচ্ছে সম্মানসূচক স্বর্ণপাম। সর্বশেষ গত ১৪ মে ৭৭তম আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই সম্মানে ভূষিত হয়েছেন আমেরিকান অভিনেত্রী মেরিল স্ট্রিপ। তার আগে আরও কয়েকজন সম্মানসূচক স্বর্ণপাম পেয়েছেন। তাদের সবাইকে ব্যক্তি হিসেবে এই স্বীকৃতি দিয়েছেন আয়োজকরা।
এবার সেই রীতিতে পরিবর্তন আনা হলো প্রথমবারের মতো কোনও প্রতিষ্ঠানকে স্বর্ণপাম সম্মানসূচক দেওয়ার মাধ্যমে।
You must be logged in to post a comment.