জিজ্ঞাসাবাদ চলছে রিয়া চক্রবর্তীর। এনসিবি-র দফতরে রবিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ পুলিশি প্রহরায় পৌঁছান রিয়া। মাদক কাণ্ডে ভাই শৌভিকের পর আজই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে কি না, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। রিয়া কি আগাম জামিনের জন্য আবেদন করেছেন? কী বলছেন তার কৌঁসুলি? আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়।
রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে এ দিন সংবাদ সংস্থাকে বলেন, ‘বিহার পুলিশ থেকে শুরু করে সিবিআই, ইডি এবং এনসিবি কোনও ক্ষেত্রেই রিয়া কোনও আদালতে আগাম জামিনের জন্য আবেদন করেননি।’ পাশপাশি সতীশ যোগ করেন, “কাউকে ভালবাসা যদি অপরাধ হয় তবে তার মূল্য দিতে প্রস্তুত রিয়া। প্রস্তুত গ্রেপ্তার হতেও। ‘অন্য দিকে ছেলে শৌভিকের গ্রেপ্তারি নিয়েও মুখ খুলেছেন রিয়া-শৌভিকের বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘অভিনন্দন ভারত। আমার ছেলে গ্রেপ্তার হয়েছে। আমি নিশ্চিত এর পর আমার মেয়ের পালা। সুচারু ভাবে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারকে ধ্বংস করে দিয়েছ তুমি। কিন্তু না, ‘ন্যায়বিচার’-এর জন্য তো সবই ঠিক। জয় হিন্দ।’
এর আগে মুম্বই পুলিশের কাছে তার এবং তার পরিবারের জন্য নিরাপত্তা চেয়েছিলেন রিয়া। সেই মতোই মুম্বই পুলিশের নিরাপত্তার ঘেরাটোপে এত দিন সিবিআই, ইডি-র দপ্তরে হাজিরা দিচ্ছিলেন রিয়া। কিন্তু আজ প্রথম বার এনসিবি-র দফতরে পৌঁছতেই পাপারাৎজির কবল থেকে রক্ষা পেলেন না রিয়া। গত শনিবার রাতে মাদক সেবন ও পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল রিয়ার ভাই শৌভিক এবং সুশান্তের প্রাক্তন হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকে । রবিবার গ্রেপ্তার করা হয় সুশান্ত-কাণ্ডে অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী অভিনেতার কর্মচারী দীপেশ সবন্তকে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, মাদক পাচারে যুক্ত ছিলেন তিনিও। এনসিবি সূত্রে খবর, জেরায় শৌভিক আরও বেশ কয়েক জন মাদক পাচারকারীর নাম প্রকাশ্যে এনেছেন।
দিন কয়েক আগে রিয়ার সঙ্গে তার ভাই এবং স্যামুয়েলের মাদক সংক্রান্ত চ্যাট প্রকাশ্যে আসে। তাতে দেখা যায়, ভাই এবং স্যামুয়েলকে গাজার গুণমান এবং জোগান নিয়ে প্রশ্ন করেছেন রিয়া। বিশেষ সূত্রে খবর, জেরায় রিয়ার হয়ে মাদক কেনার কথা স্বীকার করেছেন ভাই শৌভিকও। আপাতত এই মাসের ৯ তারিখ পর্যন্ত শৌভিক এবং স্যামুয়েল এনসিবি হেফাজতে থাকবেন। এনসিবি সূত্রে জানা যাচ্ছে, আজই মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে ভাই-বোনকে।
You must be logged in to post a comment.