ব্রাত্য বসু পরিচালিত ‘হুব্বা’ ছবির এক ঝলক দেখেই প্রশংসায় মেতেছেন নেটিজেনরা। জানা যায়, নব্বই দশকের শেষের দিকে উত্থান ঘটে হুব্বা শ্যামল নামক এক মাফিয়ার। পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার অপরাধ জগতের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন এই শ্যামল।
এমনই এক গ্যাংস্টারের জীবনকে কেন্দ্র করে নতুন ছবি তৈরি করেছেন পরিচালক ব্রাত্য বসু। কলকাতার এই ছবির মাফিয়ার ভূমিকায় দেখা যাবে অভিনেতা মোশারফ করিমকে। পরিচালক ব্রাত্য জানান, থ্রিলার এবং কমেডির মিশেলে তৈরি করা হয়েছে হুব্বা।
‘ডিকশনারি’র পর ‘হুব্বা’র মাধ্যমে আবারও কলকাতার ছবিতে দেখা যাবে মোশারফকে। শিগগির ছবিটি মুক্তি পাবে কলকাতার প্রেক্ষাগৃহে। ছবিতে নাম ভূমিকায় মোশাররফ করিম ছাড়াও সঙ্গে আছেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত।
হুগলির দাউদ ইব্রাহিম নামেও পরিচিত ছিলেন এই গ্যাংস্টার। নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে আবির্ভূত হন হুব্বা। হুগলি জেলার অন্ধকার জগতের একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন তিনি। খুন, অপহরণ, ড্রাগ পাচারের ৩০টি মামলা ছিল তার বিরুদ্ধে, পুলিশের হাতে তিনবার গ্রেপ্তার হয়েও জামিনে ছাড়া পান। ২০০৫ সালে সল্ট লেক থেকে হুব্বার অতিনাটকীয় গ্রেপ্তারির কথা আজও মনে রেখেছে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ।
শোনা যায়, ৭০টা মোবাইল ফোন ব্যবহার করত হুব্বা। এই ডন ২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে স্বাধীনভাবে ভোটেও দাঁড়িয়েছিলেন। যাতে বেজায় বিপাকেও পড়েছিল শাসকদল। পরবর্তী সময়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন তিনি। ২০১১ সালে বেশকিছুদিন নিখোঁজ থাকার পর বৈদ্যবাটির খালে হুব্বা শ্যামলের পচগলা দেহ ভেসে উঠে, গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল তার।
নির্মাতা জানান, এই ছবির মাধ্যমে আমি পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং অপরাধ জগতের চিত্রই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।
You must be logged in to post a comment.