সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর বলিউডের একাংশের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন কঙ্গনা রানাউত। বলিউডের একাংশকে ‘মাফিয়া’ বলে আক্রমণের পাশাপাশি রণবীর কাপুর, রণবীর সিং, বিকি কৌশলদের ‘ড্রাগ টেস্ট’ করানো হোক বলেও দাবি করেন কঙ্গনা। রণবীর সিং, রণবীর কাপুরদের অনুসরণ করে দেশের যুব সমাজ, তাই বি টাউনের ওই তারকাদের সম্পর্কে মাদক সেবনের যে গুঞ্জন রয়েছে, তা মিথ্যে প্রমাণ করতেই ওই পরীক্ষা করানো হোক বলে দাবি করেন বলিউড অভিনেত্রী। কঙ্গনার ওই দাবির পরই জোর শোরগোল শুরু হয়ে যায়।
ওই ঘটনার পর কঙ্গনার প্রাক্তন বন্ধু অধ্যয়ন সুমনের একটি পুরনো ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে অধ্যয়ন দাবি করেন, অভিনেত্রী এক সময় মাদক সেবন করতেন। কঙ্গনার সঙ্গে সম্পর্কের সময় একবার অভিনেত্রী তার জন্মদিনে মুম্বাইয়ের একটি বিলাসবহুল হোটেলে পার্টির আয়োজন করেন। কঙ্গনার সেই পার্টিতে বলিউডের হাই প্রোফাইল তারকারা হাজির হন। ওই রাতেই কঙ্গনা অধ্যয়নকে জানান, তিনি মাদক নেবেন। যা শুনে অধ্যয়ন তৎক্ষণাৎ না করে দেন। তবে কঙ্গনা সেই রাতে তার কথা শোনেননি বলেও দাবি করেন অধ্যয়ন।
যদিও মাদক সেবন কঙ্গনার অভ্যেসে পরিণত হয়েছে কি না, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে ২০১৬ সালের ওই সাক্ষাৎকারে দাবি করেন শেখর সুমনের ছেলে।
সুশান্তকাণ্ডে রিয়া চক্রবর্তীদের বিরুদ্ধে মাদকযোগ নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে অধ্যয়ন সুমনের সেই পুরনো সাক্ষাৎকার ভাইরাল হতে শুরু করে। ওই সাক্ষাৎকারের প্রেক্ষিতেই এবার কঙ্গনার বিরুদ্ধে তদন্ত হবে বলে জানানো হয়েছে। অভিনেত্রী কখনও মাদক সেবনে আসক্ত ছিলেন কি না, সে বিষয়ে খতিয়ে দেখতে মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মুম্বাই পুলিশকে।
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ সম্প্রতি বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে জানান, কঙ্গনার বিরুদ্ধে তদন্ত হবে মাদক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে। এমনকি, কঙ্গনা কখনও অধ্যয়নকে মাদক সেবনের জন্য জোরাজুরি করেছেন কি না, তাও খতিয়ে দেখা হবে।
যদিও মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পর পালটা টুইট করেন কঙ্গনা। তিনি বলেন, তার মাদক যোগ রয়েছে কি না, তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা হোক।
You must be logged in to post a comment.