এই সময়ের আলোচিত বিষয়ের নাম ডিপফেক। প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নতি একদিকে যেমন আশীর্বাদ হয়ে এসেছে অন্যদিকে এর অপব্যবহার অভিশাপ স্বরূপ। উন্নত প্রযুক্তির তেমনই এক অপব্যবহার হচ্ছে ডিপফেক। সাধারণত নারী তারকারা এর বেশি শিকার হলেও কিছু দিন আগে ভাইরাল হয় বি-টাউনের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ আমির খান এর একটি ডিপফেক ভিডিও। এবার এই ডিপফেক ভিডিওর কবলে পড়লেন এ সময়ের জনপ্রিয় বলিউড তারকা রণবীর সিং।
বলিপাড়ার সেলিব্রেটিরা একের পর এক ডিপফেক প্রযুক্তির করাল থাবার কবলে পড়ছেন। বলিউডের রাশমিকা, প্রিয়াঙ্কা, আলিয়া ও আমির খানের পর এবার ডিপ ফেকের কবলে শিকার হলেন রণবীর সিং।রণবীরের এই ভিডিও তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, রণবীর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করছেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে ভিডিওটি। ভিডিওতে অভিনেতাকে বলতে শোনা যায়— দেশের জনগণের সব সমস্যা এবং বেকারত্ব উদযাপন করাই কেন্দ্রীয় সরকারের মূল উদ্দেশ্য।
ভারতীয় গণমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। বোঝাই যাচ্ছে, নির্বাচনি পরিস্থিতিতে আমির ও রণবীরের ডিপফেক ভিডিও তৈরি করে রাজনৈতিক প্রচারের কাজে লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
এদিকে গত ১৯ এপ্রিল নিজের এক্স হ্যান্ডেলে রণবীর লিখেছেন, ডিপফেক থেকে নিজেদের বাঁচান বন্ধুরা।
এনডিটিভির খবর সূত্রে জানা গিয়েছে, মূল ভিডিওটি এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে (এএনআই) দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ছিল। সেখানে এই অভিনেতা প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন।
প্রসঙ্গত,সম্প্রতি আমিরের একটি ডিপফেক ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে অভিনেতাকে বলতে শোনা গেছে, ‘ভারত কোনো গরিব দেশ নয়। ভারতের প্রতিটি নাগরিক লাখপতি। প্রত্যেকের কাছে কম পক্ষে ১৫ লাখ টাকা আছে। মূলত এরপরেই আমিরের তরফ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয় যে ভিডিওটি নকল। পাশাপাশি গত ১৭ এপ্রিল মুম্বাইয়ের খার থানায় পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির নামে ৪১৯ ও ৪২০ ধারায় অভিযোগও দায়ের করেন আমির।
ডিপফেক বিষয়ে রীতিমতো তোলপাড় চলছে নেট দুনিয়ায়। ডিপফেকের সবচেয়ে বেশি শিকার হচ্ছেন সেলিব্রেটিরা। এতে তাদের পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। একইসাথে তাদের ইমেজের উপরও প্রভাব ফেলছে এসব ভিডিও।
You must be logged in to post a comment.