বলিউডে এই সময়ের সেনসেশন কিয়ারা আদভানি। নতুন বছরে তার বিয়ের সানাই বাজলো বলে! অভিনেতা সিদ্ধার্থ মালহোত্রার সঙ্গে বিয়ে হতে যাচ্ছে বলে গুঞ্জন বলিপাড়ায়। কিন্তু এরই মাঝে অভিনেত্রীর একটি ছবি ঘিরে প্রবল আলোচনা। কপালে টিপ, চোখে কাজল, চুলে বিনুন করে বাঁধা একটি মেয়ের সাদা-কালো ছবি। তাহলে কে এই নবাগতা?
দীর্ঘ নয় বছর পরে পরিচালক হিসেবে ফিরছেন রাজকুমার সন্তোষী। ‘ঘায়েল’, ‘দামিনী’, ‘আন্দাজ আপনা আপনা’, ‘দ্য লিজেন্ড অব ভগৎ সিং’, ‘আজব প্রেম কি গজব কাহানী’ এর মতো ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। আগামী বছরই ‘গান্ধী গডসে এক যুদ্ধ’ নামের নতুন সিনেমা নিয়ে আসছেন জাতীয় পুরস্কারজয়ী এই পরিচালক। এতে থাকছে মেয়ে তনিশা। আর তাকেই অনেকে মিলিয়ে ফেলছেন কিয়ারা আদভানির সঙ্গে।
তনিশা তারকাকন্যা হওয়ার পরও এতদিন অনেকটাই আড়ালে ছিলেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায়ও খুব বেশি ধরা পড়েননি তিনি। আবার ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলও প্রাইভেট করে রেখেছিলেন। তবে বড় পর্দায় আসার আগ মুহূর্তে নিজের পুরনো অ্যাকাউন্ট পাবলিক করেছেন তিনি। সেখানে ইতোমধ্যে ফলোয়ারের সংখ্যা ত্রিশ হাজার ছাড়িয়েছে। ক্যারিয়ারের জার্নি উপলক্ষেই হয়তো সোশ্যালে নিজের শুভাকাঙ্ক্ষী তৈরি করতে চাইছেন রাজকুমারকন্যা।
ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে প্রোফাইল পাবলিক করার পরই মাতামাতি শুরু হয় তনিশাকে নিয়ে। চলতি বছরের শুরুর দিকে ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি।
তনিশাকে ইনস্টাগ্রামে স্বাগত জানিয়েছেন জাহ্নবী কাপুর। পরিচালককন্যার উদ্দেশে অভিনেত্রী লেখেন, আমার প্রিয় বান্ধবী, আমার জীবনের প্রিয় মানুষ। আমার পরিচিতদের মধ্যে এই মেয়েটি মজা করতে ভালোবাসে। জীবনে এক নতুন ও বিশেষ যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে সে। সবাই প্রচুর ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা দেবেন তাকে। নতুন কিছু আসতে যাচ্ছে।
রাজকুমারকন্যাকে শুধু শ্রীদেবীকন্যাই শুভেচ্ছা জানাননি। ইন্ডাস্ট্রির অন্য তারকারাও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। শ্রীদেবীর ছোট মেয়ে খুশি কাপুর, আলিয়া ক্যাসপ থেকে জিবরান খানও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পরিচালক শরন শর্মা বলেছেন, তোমার কাজ দেখার জন্য অপেক্ষা করছি।
এদিকে নেটিজেনদের মধ্যে অনেকেই তনিশাকে তুলনা করেছেন বলিউড অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানির সঙ্গে। তাদের অনেকে তনিশাকে বড় পর্দায় দেখতে উৎসাহী। আর সিনেমার প্রথম ঝলক প্রকাশ্যে আসার আগেই আলোচনায় উঠে এসেছেন এই নবাগতা।
মহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে নাথুরাম গডসের মতাদর্শগত যুদ্ধ নিয়ে ‘গান্ধী গডসে এক যুদ্ধ’ তৈরি করেছে রাজকুমার। মহাত্মা গান্ধী ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি মারা যান। তবে ইতিহাস কোন দিকে মোড় নিতো তার উপর ভিত্তি করে নির্মাণ করা হয়েছে এই ‘ফিকশনাল পিরিয়য ড্রামা’ ধরানার সিনেমাটি।
You must be logged in to post a comment.