সিলেটের পাহাড়ী টিলার বাসিন্দা কোহিনুর… যাকে সবাই নূরী বলেই জানে। পাহাড়ী ঝরনার মতো উচ্ছল-চঞ্চল এক মেয়ে। ভীষন প্রানবন্ত, মিশুক আর পরোপকারী বলে সবাই নূরীকে ভালোবাসে। স্নেহ করে। দূরন্ত হলেও নূরী এমন এক অসুখে ভুগছে যার পরিনতি মৃত্যু। আর সেই সর্বগ্রাসী মৃত্যু এক পা দু’পা করে ক্রমেই নূরীর দিকে এগিয়ে আসছে। এ রোগের কোন চিকিৎসা নেই। কোন অষুধ নেই। শুধু নিরবে মৃত্যুর জন্যে অপেক্ষা করা ছাড়া কারো কিছু করার নেই। ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় নূরী বোর্ড সেরা রেজাল্ট করলেও মায়ের জেদের কারনে লেখাপড়া বন্ধ করতে হয়েছে নূরীকে। তাই সে এখন ফুরফুরে প্রজাপতির মতো উড়ে বেড়ায় আর নিজের ফুলের দোকান নিয়ে মশগুল হয়ে থাকে। নূরী স্বপ্ন দেখে একদিন সত্যিই এক রাজকুমার আসবে তার জীবনে। ভাগ্যের কি বিচিত্র খেলা। একদিন সত্যি সত্যিই এক রাজকুমার আসে নূরীর জীবনে। যার নাম কাশিফ চৌধুরী। ঢাকার বিখ্যাত চৌধুরী খানদানের সবচেয়ে ছোট ছেলে। সে চৌধুরী বাড়ীর সবার নয়নের মনি। কাশিফ বাড়ীতে না থাকলে সবাই যেন চোখে অন্ধকার দেখে। পুরো চৌধুরী বাড়িটা বিমর্ষ হয়ে পড়ে। বিয়ে হয় দুজনের। আর এভাবেই গল্পের নতুন মোড় নেয়।

একুশে টেলিভিশনে প্রচার হচ্ছে ধারাবাহিক নাটক ‘মেঘের খেয়া’। সপ্তাহের প্রতি শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত প্রতিদান রাত ৯টা ৩০মিনিটে প্রচার হবে নাটকটি। ‘মেঘের খেয়া’ এক মৃত্যু পথযাত্রী মেয়ের গল্প। ভালোবাসা এবং ঘৃনার চরম নাটকীয় দ্বন্দ নিয়েই নির্মিত হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘মেঘের খেয়া’। আদনান আদীব খানের রচনা এবং সৈয়দ আওলাদের পরিচালনায় ধারাবাহিকটিতে অভিনয় করেছেন সীমানা, শেলী আহসান, প্রত্যাশা, শাহরিয়াজ, পারভিন সুলতানা দিতি, জয়শ্রীকর জয়া, আল মামুন, আলিফ, নওসাবা, মুকিদ প্রমুখ।