৭ পর্বের ধারাবাহিক নাটক: প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও
ঈদ উল আজহা উপলক্ষে এনটিভিতে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬.৪০ মিনিটে প্রচার হবে ৭ পর্বের বিশেষ ধারাবাহিক নাটক ‘প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও’। সিফাত হোসেনের সংলাপ রচনায় নাটকটির গল্প, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন মোহন আহমেদ। অভিনয় করেছেন সাইদুর রহমান পাভেল, চাষী আলম, ইশকিয়াক আহমেদ রুমেল, সালহা খানম নাদিয়া, ফাহমিদা বন্যা, পামির, জারা নূর, শেলী আহসান প্রমূখ। ‘শান্তিপুর গ্রামের অশান্তির কারণ দুই ভাই হাবিল ও কাবিল। গ্রামের মানুষের মুরগি থেকে গরু, ছাগল, গাছের ফল কিছুই বাদ যায়না দুই ভাই আর তাদের বন্ধুদের কারণে। এলাকার মেম্বার চেয়ারম্যান থেকে মাতব্বর পর্যন্ত অনেক বিচার শালিস হয়েছে, কিন্তু কোন কাজ হয়নি। স্বামী মারা যাওয়ার পর হাবিল কাবিলের মা ফাতেমা বেগম দুই নিজের জীবন নিয়ে আগলে রেখে বড় করেছেন। সেই মা এখন দুই সন্তানের এসব কর্মকান্ডে দিশেহারা। হাবিলের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে বেশ বাজে অবস্থায় আছে প্রতিবেশি আলী কাকার মেয়ে ঝিনুক। হাবিলের বিচার আচার দেখতে দেখতে সে এখন ক্লান্ত। তবুও ছেড়ে যেতে পারেনা। ঐদিকে পােশের গ্রামের মুন্নী ও কাবিলের প্রেমটাও হয়েছিলো একটি দুর্ঘটনার মধ্য দিয়ে। পাশের গ্রামে নারকেল চুরি করতে গিয়ে মুন্নীর প্রেমে পড়ে যায় কাবিল। দুই ভাই মিলে ফন্দি আঁটে। ময়ের কাছে গিয়ে জানায় তারা আর জীবনেও কোনদিন কোন অন্যায় কাজ করবে না। এখন থেকে মায়ের কথামতোই চলবে। তবে বিনিময়ে তাদের ভালোবাসার মানুষকে বউ করে এনে দিতে হবে।’
বিশেষ টেলিফিল্ম: একটি পুরানো ছবি
ঈদ উল আজহা উপলক্ষে এনটিভিতে ঈদের দিন দুপুর ২.৩০ মিনিটে বিশেষ টেলিফিল্ম ‘একটি পুরানো ছবি’। ফারিয়া হোসেনের রচনায় টেলিফিল্মটি পরিচালনা করেছেন চয়নিকা চৌধুরী। অভিনয় করেছেন আবু হুরায়রা তানভীর, সামিরা খান মাহি, সাদিয়া ইসলাম মৌ, সমু চৌধুরী প্রমূখ। ‘অপু আর রানীর নতুন বিয়ে হয়েছে। ওরা ঢাকায় বেড়াতে আসে। কোন আত্মীয় বা হোটেলে না উঠে একটি রেস্ট হাউজে উঠে। অপু বিদেশে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় আবেদন করছে। পাসপোর্ট, অন্যান্য ডকুমেন্ট তৈরি করছে, এ জন্য প্রতিদিনই সে দিনে বাইরে যায়। একদিন হঠাৎ রেস্ট হাউজে অন্য কারো উপস্থিতি টের পায় রানী। পাশের রুমে একজন মহিলা এসেছেন। পরিচয় হয় রানীর সাথে। কাবেরী জানান তার স্বামী তাকে রেখে পাঁচ দিনের জন্য একটা কাজে গেছেন। ফিরে আসলেই তিনি বাড়ি ফিরে যাবেন। এ পর্যন্ত ঠিক ছিল, কিন্তু হঠাৎ করে রানীর সব জিনিসপত্র উল্টপাল্টা হতে শুরু করে। এ সময় কাবেরী রানীর মনে ওর স্বামী সম্পর্কে নানান ধরনের ভয় ঢুকাতে শুরু করে। রানী ভয় পায় অপু হয়তো ওকে এই শহরে কারো কাছে বিক্রি করে দেবে, অথবা ওকে ফেলে চলে যাবে। রানীর নানান ধরনের সন্দেহে অপু অস্থির এবং বিরক্ত। অপু বোঝে না, রানীর মাথায় এসব চিন্তা কোথায় থেকে আসছে।’
বিশেষ টেলিফিল্ম: কে কখন কোথায়?
ঈদ উল আজহা উপলক্ষে এনটিভিতে ঈদের তৃতীয় দিন দুপুর ২.৩০ মিনিটে বিশেষ টেলিফিল্ম ‘কে কখন কোথায়?’। রাকেশ বসু’র রচনা ও পরিচালনায় টেলিফিল্মটিতে অভিনয় করেছেন পার্থ শেখ, আইশা খান, মীর রাব্বি, খায়রুল আলম টিপু, মোস্তফা মন প্রমূখ। ‘জয়া আর অর্ক’র বিয়ে হয়েছ বছর দুই হলো। ওরা একই অফিসে ভিন্ন ডিপার্টমেন্টে ছিল। অফিসেই পরিচয়। তারপর প্রেম, বিয়ে। দু’জনের নতুন জীবন। সম্প্রতি জয়া চাকরী ছেড়ে দিয়ে পুরোদমে গৃহিণী হয়ে গেছে। কোন কিছুর জন্যে যেন অর্কর কোনো অসুবিধা না হয় সারাক্ষণ সেটাতেই মন জয়ার। ইদানিং জয়ার চলাফেরা কেমন যেন অন্যরকম মনে হয় অর্কর কাছে। কিছুদিন আগেই বাজার করে ফেরার সময় জয়ার একজন প্রিয় মানুষের সাথে দেখা হয়, তিনি সজল। সজলের সব বিষয়ে জ্ঞান রাখার চর্চাটা জয়াকে মুগ্ধ করত সবসময়। এতোদিন পরে সজল জয়াকে পেয়ে আর ছাড়ে না। জয়াও কেমন যেন সজলের প্রতি দূর্বলতা প্রকাশ করে। এরপর থেকে সজলের নতুন বাসায় তার যাতায়াত শুরু হয়। শুরুটা সহজ হলেও আস্তে আস্তে বিষয়টা গভীরে চলে যায়। পরদিন অফিসের ফাঁকে জিনিয়া জানায় জয়ার সাথে একটা লোককে সে প্রায় তার পরিচিত একটা রেস্টুরেন্টে দেখে-লাঞ্চের সময়। ভীষণরকমের ধাক্কা খায় অর্ক। জয়ার উদাসীনতার কারন সে এখণ বুঝতে পারছে। কিন্তু জয়া এমন কাজ করতে পারে তা তার বিশ্বাস হয় না।
বিশেষ নাটক: প্রেমিক কৃষক
ঈদ উল আজহা উপলক্ষে এনটিভিতে ঈদের চতুর্থ দিন রাত ১১.০৫ মিনিটে প্রচার হবে বিশেষ নাটক ‘প্রেমিক কৃষক’। অনামিকা মন্ডলের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন সোহেল হাসান। অভিনয় করেছেন নিলয় আলমগীর, হিমি, সুমাইয়া অর্পা, মাসুম বাশার, চিত্রলেখা গুহ, আব্দুল্লাহ রানা প্রমূখ। ‘রাতুল বিদেশ থেকে পড়াশনা শেষে এসেছে। মামার বাড়িতে বিশাল আয়োজন করা হয়ছে রিসিভ করার জন্য। কোন মামা কত বেশি আতিথয়েতা দেখাতে পারে, চলছে তার প্রতিযোগিতা। একসময় রাতুল দুই মামীকে লক্ষ্য করে, তাদের আদরের মধ্যে স্বার্থ আছে। বাড়ির লোকজন রাতুলেকে নানা পরামর্শ দিতে থাকে। এক সময় রাতুল নানীকে জানায় সে আর বিদেশ যাবে না। গ্রামে থেকেই কাজ করবে। হাঁস-মুরগীর খামার, মাছের ঘের, সেখানে অনেক মানুষ কাজ করবে, গ্রাম উন্নত হলে দেশ উন্নত হবে। রাতুলের এসব কথা শুনে মামারা হতাশ হয়ে যায়। রাতুলের মাথায় সমস্যা হয়ছে নাকি? এখন কি হবে তাহলে?’
বিশেষ নাটক: পূর্ণতা
ঈদ উল আজহা উপলক্ষে এনটিভিতে ঈদের ষষ্ঠদিন রাত ১১.০৫ মিনিটে প্রচার হবে বিশেষ নাটক ‘পূর্ণতা’। পাপ্পুরাজের চিত্রনাট্য রচনায় নাটকটির গল্প ও পরিচালনায় আছেন নির্মাতা মুসাফির রনি। অভিনয় করেছেন নিলয় আলমগীর, জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি, মাসুম বাশার, মিলি বাশার, তুতিয়া ইসলাম পাপিয়া, রিমু রোজা খন্দকার প্রমূখ। ‘শ্রাবণ অফিস থেকে বাসায় আসার সাথে সাথে তার সাথে ঝগড়া শুরু করে দেয় মোনা। কারন আজ মোনার ডাক্তারের কাছে যাবার কথা ছিলো। শ্রাবন মোনাকে বলে, ডাক্তার ঢাকায় নেই। মোনা শ্রাবণকে অন্য ডাক্তারের কাছে যেতে বলে। শ্রাবণ মোনার পেটে মাথা রেখে হেসে বলে, এইতো বেবি নড়ছে। মোনাও বুঝতে পারে হ্যাঁ বেবি নড়ছে। মোনা খুশি হয়। মোনা তার বাবা মাকে ডেকে নিয়ে আসে বাসায়। একদিন মোনা শ্রাবণের সাথে রাগ করে একদিন বাসা থেকে বের হয়ে যায়। শ্রাবণ অফিসে গিয়ে যখন বসের সাথে কথা বলছে তখন শ্রাবণের ফোনে কল আসে। মোনা এক্সিডেন্ট করেছে। সেই এক্সিডেন্টে মোনার মাথায় রক্তক্ষরণ হয়, বাচ্চাটা নষ্ট হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, মোনা আর কোনদিনই মা হতে পারবে না। তার স্মৃতি শক্তি ফিরে পেতে অনেক সময় লাগতে পারে। তাই মোনা এখনো মনে করে তার প্রেগনেন্সি পিরিয়ড পাঁচ মাস।’
বিশেষ নাটক: লাভ লুপ
ঈদ উল আজহা উপলক্ষে এনটিভিতে ঈদের সপ্তমদিন রাত ৯.১০ মিনিটে প্রচার হবে বিশেষ নাটক ‘লাভ লুপ’। নন্দিতা ভৌমিকের গল্প ভাবনায় নাটকটির চিত্রনাট্য লিখেছেন দয়াল সাহা এবং পরিচালনা করেছেন মাহমুদুর রহমান হিমি। অভিনয় করেছেন ফারহান আহমেদ জোভান, কেয়া পায়েল, শফিউল আলম বাবু, মিলি বাশার প্রমূখ। ‘একটি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র নাহিদ নম্র, ভদ্র ও বিনয়ী। কোন ফালতু আড্ডায় সে নেই। বিভিন্ন দেশের জাতিসত্তা, ভূরাজনীতি, টেকনোলজি নিয়ে গবেষণা করাই তার কাজ। নাহিদের ক্লাশমেট নীহা। বাবা শিক্ষাক। নীহার দুই বান্ধবী রাহা ও সাথী। নীহা আড্ডা দিতে পছন্দ করে। মূলত এই বান্ধবীদের পাল্লায় পড়ে নাহিদকে ভালোবাসার চোখে দেখা শুরু করে নীহা। প্রোপোজ করার পরদিন থেকে নাহিদ আর আসে না। সাতদিন পর ফিরে এসে জানায়, তার পক্ষে প্রেম করা সম্ভব না। এরপর থেকে নানাভাবে, নানা জয়গায় নাহিদকে ফলো করতে থাকে নীহা। এদকিন এই বিষয়টা অনেকের চোখে পড়ে যায়। নীহার বাবা মান সম্মানের ভয়ে বাসা পাল্টে ফেলে। একদিন ফোর্থ ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষা। সবাই আসলেও নাহিদ আর আসেনা। এরপর অনার্স শেষ হয়, মাষ্টার্স শেষ হয়। নীহা অপেক্ষায় থাকে নাহিদের। কোথাও আর খুঁজে পাওয়া যায় না।’
You must be logged in to post a comment.