সালটা ১৯৩১। ওয়ার্নার ব্রাদার্স থেকে মুক্তি পায় পরিচালক মারভিন লেরয়ের প্রথম সিনেমা ‘লিটল সিজার’। আর এটিই হয়ে যায়, ইতিহাসের ধুন্ধুমার এক অধ্যায়। কারণ চলচ্চিত্র ইতিহাসে এটি প্রথম গ্যাংস্টারধর্মী সিনেমা। এতে অভিনয় করেছেন এডওয়ার্ড জি. রবিনসন, ডগলাস ফেয়ারব্যাঙ্কস জুনিয়র ও গ্লেন্ডা ফারেল।
এক হিংস্র অপরাধীর খুব তাড়াতাড়ি ত্রাস ছড়িয়ে ক্ষমতার শীর্ষে উঠা, আবার ততোধিক তাড়াতাড়ি ভূপতিত হওয়ার আখ্যান হলো— লিটল সিজার।
ডব্লিউ.আর. বার্নেটের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত এ চলচ্চিত্রে এক ছোট মাস্তানের গল্প বলা থেকে শুরু হয়। ছোট হলেও তার স্বপ্ন অনেক বড়। তার ওপর বয়স হাঁটুতে, রক্ত মাথাতে আর উত্তেজনা সারা শরীরজুড়ে। যা হয় আরকি, শিগগিরই জড়িয়ে পড়ে গ্যাং অপরাধে। উচ্চাকাঙ্ক্ষা আর দুঃসাহসে ভর করে তড়িৎ ‘বস’ আসনটাই পাওয়া হয়। কিন্তু উচ্চাকাঙ্ক্ষাই তার শেষ অবধি বিপদ ডেকে আনে। লেরয়ের কুশলী পরিচালনা, বিধ্বংসী অভিনয় করা রবিনসন আর গল্পের প্লট দর্শক মনে সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়। তৈরি হয় নতুন জেনার। সময় অনুযায়ী লিটল সিজারের সাউন্ড ডিজাইনিংও খুব কার্যকর ভূমিকা রাখে দুর্ধর্ষ দৃশ্যে অনুভূতিটা দর্শকমনে জাগাতে।
বলা হয়ে থাকে, ছবিটি গ্যাংস্টার জনরার রূপরেখা প্রণয়ন করেছে। সে কারণেই আমেরিকান ‘ন্যাশনাল ফিল্ম রেজিস্ট্রি’তে এর নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পাশাপাশি, আমেরিকান ফিল্ম ইন্সটিটিউটের শ্রেষ্ঠ ১০ গ্যাংস্টার সিনেমারও একটি এটি।
You must be logged in to post a comment.