ইকুয়েডরের বিপক্ষে খেলা শুরুর ৬ মিনিটে গোল পায় ডাচরা। আর ৪৯ মিনিটের মাথায় নেদারল্যান্ডসের জালে গোল পাঠায় ইকুয়েডর। এরপর আর কেউই গোল করতে পারেনি। ফলে ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে দুদলকে।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) দিনের তৃতীয় ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে ইকুয়েডর। ডাচদের হয়ে খেলার ৬ মিনিটের মাথায় গোল করেছেন কোডি গ্যাকপো। বিরতির আগ মুহূর্তে গোলের দেখা পেয়েছিল ইকুয়েডরও। পারভিস এস্তোপিনানের সেই গোলটি বাতিল করেছে ভিএআর। ৪৯ তম মিনিটে গোল করে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনেন ইকুয়েডর দলপতি এনার ভ্যালেন্সিয়া।
সমতা দিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করা দুইদল দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার আশায়। চলতে থাকে একের পর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ; কিন্তু ফলাফল শূন্য। উভয় দল দ্বিতীয়ার্ধ শেষ করে ১-১ এর সমতায়।
এই ম্যাচ ড্র করায় দুদলেরই অপেক্ষা বাড়ল। সেই সঙ্গে আশা বাড়ল সেনেগালের। দুটি করে ম্যাচ শেষ নেদারল্যান্ডস ও ইকুয়েডরের পয়েন্ট সমান ৪। আর তিনে আছে সেনেগাল। এই গ্রুপে থাকা আরেক দল কাতারের বিদায় এরই মধ্যে নিশ্চিত হয়েছে।
আল রাইয়ানের খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আজ শুক্রবার ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচটিতে প্রথমার্ধে লিড পায় ডাচরা। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে এগিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। ডেভি ক্লাসেনের কাছ থেকে বল পেয়ে, একটু এগিয়ে বুলেট গতির শটে জাল খুঁজে নেন হাকপো। চলতি আসরে এটি তার দ্বিতীয় গোল।
বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচে সমতা ফেরায় ইকুয়েডর। ৪৯ মিনিটে দলকে স্বস্তি এনে দেন ভ্যালেন্সিয়া। যার পর দুদল আক্রমণে-পাল্টা আক্রমণে ম্যাচ জমিয়ে তুলেও আর গোলের দেখা পায়নি। শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় নেদারল্যান্ডস ও ইকুয়েডরকে।
পুরো ম্যাচে আক্রমণে ধার দেখিয়েছে ইকুয়েডর। নির্ধারিত সময়ে ১৫বার ডাচ শিবিরে আক্রমণ করেছে তারা। যার মধ্যে ৫টিই ছিল অনটার্গেট শট। অন্যদিকে রক্ষণ আগলে খেলে নেদারল্যান্ডস। পুরো ম্যাচে মাত্র দুবার আক্রমণ করে তারা। যার মধ্যে একটিতে মিলে গোলের দেখা।
You must be logged in to post a comment.