প্রচারে আসছে নতুন ধারাবাহিক ‘আক্কেলগঞ্জ হোম সার্ভিস’। হাস্যরসাত্মক গল্পে নাটকটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন নির্মাতা রতন হাসান ও এ আর আকাশ। লিখেছেন সাগর জাহান, যিনি নিজেও একজন জনপ্রিয় নাট্য নির্মাতা।
অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, মোশাররফ করিম, শাহনাজ খুশি, আ খ ম হাসান, আরফান আহমেদ, সালহা খানম নাদিয়া, দ্বীপা খন্দকার, প্রাণ রায়, রোবেনা রেজা জুঁই প্রমুখ। ৫ জুলাই থেকে প্রতি শুক্র, শনি ও রোববার আরটিভির পর্দায় প্রচার হচ্ছে এটি।
নাটকটির কেন্দ্রীয় চরিত্র মকলেসের ভূমিকায় রয়েছেন অভিনেতা মোশাররফ করিম। গল্পে দেখা যাবে, একসময় সে অনেক কিছুর মালিক ছিল। পুকুর ভরা মাছ, গোয়াল ভরা গরু, খামার ভরা মুরগি, পকেট ভরা টাকা, একটা প্রেমিকাও ছিল তার। আর ছিল এনজিও থেকে নেওয়া মোটা অংকের লোন। কিন্তু ভাইরাসের আক্রমণে খামারের সব মুরগি মারা যায়। কিন্তু রয়ে গেছে সেই লোন পরিশোধের বাকি। সপ্তাহে তাকে কিস্তি দিতে হয় তিন হাজার টাকা। বর্তমানে আয় করার একমাত্র উপায় হোম ডেলিভারির বিজনেস। আলু, পেয়াজ, পটল থেকে শুরু করে প্রেম-ভালোবাসা সবই ডেলিভারি দেয় সাইকেলে করে। নাম ‘মকলেস হোম সার্ভিস’।
একই গ্রামে দেশের কিংবদন্তিতুল্য নায়িকা তাহনূরের বাড়ি। সাজানো-গোছানো বাগান বাড়ি। তার করা বায়ান্নোটা সিনেমার মধ্যে ২৮টা সুপারহিট। কিন্তু গ্রামের মানুষের কাছে এখনও সে দীপা নামেই পরিচিত। নায়িকা হিসেবে যে সম্মান তার পাওয়ার কথা সেটা সে পায় না। অন্যদিকে, মিশকাত নামের একজন নায়িকার ম্যানেজার। একদম স্যুটেড-বুটেড সে। একটু বোকা, টেনশনবাজ। সারাদিন এটা-সেটা নিয়ে টেনশন করা তার মুদ্রাদোষ।
কয়েকদিন পর তাহনূর এই গ্রামে আসবে এবং বেশ কিছুদিন সে এখানে থাকবে। এ জন্য মিশকাত এসে আগের থেকেই এখানে থাকছেন। আবার সেই তাহনূরের কাজের মেয়ে কমলা। যে কয়েকটা সিনেমায় তাহনূরের বান্ধবী হিসেবে অভিনয় করেছে। স্বপ্ন তার একদিন যদি নায়িকা হওয়া যায়!
এভাবেই বিভিন্ন চরিত্র এই নাটকে গল্পের মালা দিয়ে গাঁথা। যে মালার পরতে পরতে হাস্যরসের ভেতর দিয়ে কখনো সিরিয়াস, কখনো কষ্ট, কখনো খুব মানবিক, কখনো প্রেমের গল্প ছড়িয়ে আছে।
You must be logged in to post a comment.