পুরান ঢাকার স্থানীয় মানুষজন তাদের অস্তিত্ব সংকটে ভূগছে। কারণ, পূরান ঢাকার এক এলাকায় বরিশাল অঞ্চলের মানুষজন দিয়ে ভরে গেছে। সেখানে আগে ছিল পুরান ঢাকার জুম্মন কসাই, এখন বরিশালের বেলাল কসাই। আগে দিন চান মিয়ার বিরিয়ানি, এখন রহিমের বিরিয়ানি। আগে ছিল মাখনের বাখরখানি, আর এখন হয়েছে মজিদের বাখরখানি। সব মিলিয়ে পূরান ঢাকার মানুষ বিলুপ্তির পথে।
সেই এলাকায় দুই পক্ষের প্রভাব খাটানোর ঝামেলা নিয়েই তৈরি হয়েছে এই গল্প। এলাকার একটি মোড়ের নামকরণ করা হয়েছে টঝই চত্বর (টহরঃবফ ঝঃধঃব ড়ভ ইধৎরংযধষ)। মূলত এই চত্বরকে কেন্দ্র করেই সকল ঝামলা। বহু বছর আগে এক বরিশালের মানুষকে থাকতে দিযেছিল পূরান ঢাকার এক পরিবার। সে ছিল বাবুর্চির সহকারী। সেই লোক বরিশাল থেকে বিয়ে করে আত্মীয় স্বজন সবাইকে নিয়ে এসে এখন তার নাতি-পুতিরা সেই এলাকায় রাজত্ব করছে।
তাই দুই পক্ষের মাধ্য নির্বাচন নিয়ে ঝামেলা, রাস্তা দখল নিয়ে ঝামেলা, প্রেম নিয়ে ঝামেলা। বরিশালের পরিবারের এক লোক ঢাকাইযা পরিবারের এক মেয়েকে বিয়ে করে ঘরজামাই থাকে। সে প্রচন্ড নির্যাতনের মধ্যে রয়েছে। বরিশাল-ঢাকাইযা গ্যাঞ্জামের মাঝে সে দুই পক্ষকেই ম্যানেজ করতে হয়।
এদিকে ঢাকাইয়া পরিবারের ছোট ছেলে, যে একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। সবাই মনে করে সে অনেক মেধাবী, কিন্তু আসলে সে ভুয়া। নকল করে পরীক্ষায় পাশ করে। সে বরিশাল পরিবারের মেয়ের সঙ্গে প্রেম করে। বিষয়টি মেয়ের চাচাতো ভাই জেনে যায়। সেই চাচাতো ভাই ঢাকাইয়া দেখলেই মারতে যায়। একসময় সে মানুষ ঠেক দিয়ে দিনতাই করত।
ঢাকাই যারা মূলত এই এলাকাকে বরিশাল মুক্ত করতে চায়। অন্যদিকে বরিশালের মানুষ পুরোপুরি এলাকা দখলে নিতে চায়। এ নিয়েই গল্প।
গত ২১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে রাত ১০ টায়: প্রতি মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার ধারাবাহিক ইউনাইটেড স্টেট অব বরিশাল “ইউএসবি” প্রচার হবে। রচনা: মাইদুল রাকিব ও সিফাত হোসেন। পরিচালক: মাইদুল রাকিব। অভিনয়ে: যাহের আলভী, মারজুক রাসেল, সেমন্তি সৌমী, শরাফ আহমেদ জীবন, শিবা শানু, মুকিত জাকারিয়া, চাষী আলম, মিহি আহসান, সাদ্দাম মাল, সিয়াম নাসির, পাভেল, তানজীম অনিক প্রমুখ।
You must be logged in to post a comment.