শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কালজয়ী উপন্যাস ‘দেবদাস’। বাংলা, হিন্দি মিলিয়ে সেলুলয়েডের পর্দায় একাধিক বার চিত্রিত হয়েছে দেবদাস, পার্বতী, চন্দ্রমুখীর কাহিনি। বলিউডে দুবার বানানো হয়েছিল ‘দেবদাস’। প্রথম ছবিতে অভিনয় করেছিলেন দিলীপ কুমার, সুচিত্রা সেন এবং বৈজয়ন্তীমালা। আর দ্বিতীয় বার দেখা গিয়েছিল শাহরুখ খান, ঐশ্বর্য রাই বচ্চন এবং মাধুরী দীক্ষিতকে।
২০০২ সালে মুক্তি প্রাপ্ত দ্বিতীয় ছবিটি সে বছর সবথেকে বেশি ব্যবসা করেছিল। পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালির ছবি দেখেছিল গোটা দেশ। শাহরুখের অভিনয় মুগ্ধ করেছিল দর্শকদের। কিন্তু অভিনেতা নিজে খুশি ছিলেন না। বরং দেবদাস ছবিতে অভিনয়ের জন্য রাজি হওয়াতে নিজেকে ‘বোকা’ বলেও দাবি করেছিলেন শাহরুখ।
বেশ কয়েক বছর আগে ‘দ্য ডায়লগ অফ দেবদাস’ বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শাহরুখ। সেখানেই তিনি মন্তব্য করেছিলেন, তিনি বোকা ছিলেন বলেই ‘দেবদাস’ করতে রাজি হয়েছিলেন। পরে তাঁর মনে হয়েছিল, হয়তো না করলেই ভাল হত। তিনি বলেছিলেন, “আমার বাবা মায়ের খুব পছন্দ ছিল দেবদাস। আমার বয়স তখন কম ছিল। রাজি হয়ে খুব বোকামি করেছিলাম। কিন্তু দিলীপ সাহাবের আশীর্বাদ ছিল আমার সঙ্গে।”
আসলে বলিউডে প্রথম ‘দেবদাস’ করেছিলেন দিলীপ কুমার। ১৯৫৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল বিমল রায় পরিচালিত ছবিটি। বরাবরই বর্ষীয়ান অভিনেতার ভক্ত এবং স্নেহধন্য ছিলেন শাহরুখ। নিঃসন্তান দিলীপ কুমার, সায়রা বানু শাহরুখকেই তাঁদের ছেলে বলে মনে করতেন।
কিং খানকে যখন প্রশ্ন করা হয়েছিল, দেবদাস চরিত্রে অভিনয়ের সময়ে তিনি কি দিলীপ কুমারকে নকল করার চেষ্টা করেছিলেন? শাহরুখ উত্তর দিয়েছিলেন, “দিলীপ সাহাবকে নকল করা যায় না। কারোর সাহস নেই যে সে তাঁকে নকল করবে। আর যদি কেউ সাহস করেও সে তাহলে আমার মতো বোকা।”
You must be logged in to post a comment.