সুরের মূর্ছনার সঙ্গে নাচ আর সুন্দর গায়কির জন্য শুধু কোরিয়ায় নয়, বিশ্ববাসীর হৃদয় জয় করে নিয়েছে কোরিয়ান ব্যান্ডগুলো। কোরিয়ার জনপ্রিয় ব্যান্ডের কথা এলেই বিটিএস আর ব্লাকপিঙ্কের কথা চলে আসে। আর সেই জনপ্রিয় দুই ব্যান্ডের একটি অর্থাৎ ‘ব্লাকপিঙ্ক’-এ লেগেছে ভাঙনের সুর। এই খবরটি এখন বেশ পুরনো।
নতুন খবর হলো, আবারো এক হলো এই ব্যন্ড তারকারা। শুক্রবার,৯ আগস্ট সিউলের গোলাপী গালিচায় পুনরায় একত্রিত হয়েছে তারা। এর পেছনে কারণ হচ্ছে, তাদের বিশ্ব ভ্রমণ চলচ্চিত্র ‘ব্লাকপিঙ্ক’ ওয়ার্ল্ড ট্যুর বর্ন পিঙ্ক ইন সিনেমাস’ ও তাদের ৮ম বার্ষিকী।
ওই দিন জেনি, জিসু, লিসা এবং রোজ, তাদের ভক্তদের সামনে উপস্থিত হয়েছিলেন কালো পোশাকে। আর তাদের একসঙ্গে দেখার জন্য ভক্তদের উপস্থিতিও ছিলো চোখে পড়ার হতো। তারকাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেছিল অনুষ্ঠানস্থলে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে তাদের বিশ্ব ভ্রমণের পর প্রথমবারের মতো তাদের এক সঙ্গে দেখা গেল।
ব্ল্যাকপিঙ্ক তাদের বিশ্ব ভ্রমণ ‘ইঙজঘ চওঘক’-এর সময় ৩৪ টি শহরে ৬৬টি কনসার্ট করেছে। ৩১ জুলাই তাদের ‘ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফিল্মটি প্রায় ১১০টি দেশের সিনেমা হলে মুক্তি পায়।
কোরিয়ান ব্যান্ড হলেও ‘ব্লাকপিংক’র জনপ্রিয়তা ও প্রভাব পশ্চিমা বিশ্বেও অসামান্য। ক্রমশ তাদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েই চলেছে। গত জুলাই মাসে যুক্তরাজ্যের অন্যতম মিউজিক ফেস্টিভ্যাল ‘বিএসটি- ব্রিটিশ সামার টাইম’-এ প্রথম কোরিয়ান ব্যান্ড হিসেবে পারফর্ম করেছে ‘ব্লাকপিংক’। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের একটি উৎসবেও প্রথম এশিয়ান নারী ব্যান্ড হিসেবে পারফর্ম করে রেকর্ড গড়ে ব্যান্ডটি।
২০১৬ সালে ‘স্কয়ার ওয়ান’ অ্যালবামের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে ‘ব্ল্যাকপিংক’। এ পর্যন্ত তাদের দুটি স্টুডিও অ্যালবাম, চারটি লাইভ অ্যালবাম, তিনটি ইপি ও ১২টি সিঙ্গেল প্রকাশ হয়েছে। এছাড়া কিছু কিছু সিঙ্গেল অ্যালবাম ও প্রমোশনাল গানও করেছে ব্যান্ডটি।
You must be logged in to post a comment.