হলিউডের জনপ্রিয় মুখ অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ও ব্র্যাড পিট। অভিনয় করতে গিয়েই তারা প্রেমে পড়েন। দীর্ঘ ১০ বছর প্রেমের পর ২০১৪ সালে বিয়ে করেন। তবে বিয়ের মাত্র দুই বছর পর বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তারা। এরপর শুরু হয় অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ও ব্র্যাড পিটের আইনি লড়াই। অবশেষে এসব লড়াই থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জোলি।
পিপলের প্রতিবেদন বলছে, ঘটনার শুরু ২০২২ সালে, সে সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ ও ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। জেন ডো ছদ্মনামে আদালতে তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৬ সালের ঘটনা নিয়ে পিটের বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলার সঠিক তদন্ত হয়নি। অবশেষে এই অভিযোগ তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জোলি। অভিনেত্রী বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আদালতকে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।
এফবিআইয়ের কাছে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি অভিযোগ করেছিলেন, ২০১৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রাইভেট জেটে করে সন্তানদের নিয়ে ফ্রান্স থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরছিলেন দুই তারকা। এই সময়ে জোলি এবং পিটের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে জোলিকে ঘাড় ধাক্কা দেন পিট, সেই সঙ্গে তার মাথা ধরে ঝাঁকান। এমনকি এক পর্দায়ে সন্তানদের সঙ্গেও খারাব ব্যবহার করেন ব্র্যাড পিট। এক সন্তানের গলা চেপে ধরেন, অন্যজনের মুখ চেপে ধরেন। এছাড়া জোলি ও সন্তানদের গায়ে মদ ছুড়ে মারেন ব্র্যাড পিট।
তবে শুরু থেকেই জোলির এ অভিযোগ অস্বীকার করছিলেন ব্র্যাড পিট। তবে জোলির অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৬ সালের ওই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করে এফবিআই ও লস অ্যাঞ্জেলেস কান্ট্রি ডিপার্টমেন্ট অব চিলড্রেন অ্যান্ড ফ্যামিলি সার্ভিসেস। একই বছরের নভেম্বরে এফবিআইয়ের এক মুখপাত্র জানান, এ ঘটনায় ব্র্যাড পিটের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাননি তারা।
এই রায়ের পর একেবারের সন্তুষ্ট ছিলেন না জোলি। তাই তিনি ২০২২ সালে এ তদন্তের নথি খতিয়ে দেখার দাবি তোলেন জোলি। তবে এবারই লড়াই শেষ করতে চাচ্ছেন অভিনেত্রী। তাই এফবিআইয়ের বিরুদ্ধে আদালতে করা অভিযোগটি তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
You must be logged in to post a comment.