টিভি নাটকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু আর নেই। আজ বৃহস্পতিবার উত্তরার বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি… রাজিউন)।
তাঁর মৃত্যুর সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম।
তিনি বলেন, ‘সাড়ে ৩ টার দিকে আমরা খবর পেয়েছি। কীভাবে কী হলো আমরা এখনো বিস্তারিত জানিনা। শুনেছি তাকে একটি ছেলে উত্তরার বাংলাদেশ মেডিকেল নিয়ে যায়, ডাক্তাররা দেখে বলেন, নিয়ে আসার আগের তিনি মারা গেছেন। হাসপাতাল থেকে পুলিশকে খবর দেয়া হয়, এরই মধ্যে হাসপাতালে পুলিশ পৌঁছালে সেই ছেলেটি তার (হিমুর) ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।’
ধারণা করা হচ্ছে, হুমায়রা হিমু আত্মহত্যা করেছেন। তবে আহসান হাবিব নাসিম বলেন, আত্মহত্যা নাকি হত্যা এখনই বলা যাচ্ছে না। বিকালে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় তার ছোট বোন ও প্রেমিক। হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। কর্তব্যরত ডাক্তার পুলিশ কল করলে তার প্রেমিক ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৫ সালের ২৩ নভেম্বর লক্ষীপুর জেলায় জন্ম হুমাইরা হিমু। তিনি ইস্পাহানি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ইডেন মহিলা কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। মঞ্চনাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি প্রথম নাট্য জগতে প্রবেশ করেন। ফ্রেঞ্চ নামক নাট্য দলের হয়ে তিনি অভিনয় করেন।
অসংখ্য টিভি নাটকে দেখা গেছে হিমুকে। ‘ছায়াবীথি’ নামের একটি নাটকের মাধ্যমে ২০০৬ সালে টেলিভিশন নাটকে তার অভিনয় শুরু। একই বছর পিআই (প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর) নামে একটি টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করেন। তার অভিনীত অসংখ্য জনপ্রিয় নাটকের মধ্যে রয়েছে, ‘বাড়ি বাড়ি সারি সারি’, ‘হাউজফুল’, ‘গুলশান এভিনিউ’ ‘ডিবি’, ‘সোনাঘাট’, ‘চেয়ারম্যান বাড়ি’, ‘শোনে না সে শোনে না’, ‘বাটিঘর’, ‘কমেডি-৪২০’, ‘চাপাবাজ’, ‘অ্যাকশান গোয়েন্দা’, ‘ছায়াবিবি’, ‘এক কাপ চা’ অন্যতম। ২০১১ সালে ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ সিনেমাতে অভিনয়ের মাধ্যমে বড় পর্দাতেও অভিষেক হয় তার।
You must be logged in to post a comment.