শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২৩ অপরাহ্ন

অভিনেত্রী লায়লা খান হত্যাকাণ্ডে সৎবাবার মৃত্যুদণ্ড

বিনোদন ডেস্ক / ৩৩ জন দেখেছেন
আপডেট : মে ২৫, ২০২৪
অভিনেত্রী লায়লা খান হত্যাকাণ্ডে সৎবাবার মৃত্যুদণ্ড
দর্শক ফোরামের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন

১৩ বছর আগের ঘটনা। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস। পরিবারের পাঁচ সদস্যসহ নিখোঁজ হন বলিউড অভিনেত্রী লায়লা খান। এক বছর পর মহারাষ্ট্রের ইগতপুরিতে অবস্থিত নিজেদের একটি খামারবাড়ির মাটি খুঁড়েই তাদের পচাগলা মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের দায়ে ২৪ মে মুম্বাইয়ের একটি দায়রা আদালত লায়লা খানের মায়ের তৃতীয় স্বামী পারভেজ তাককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। এর আগে ৯ মে একই আদালত ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, নিখোঁজ হওয়ার আগে লায়লা ও তার পরিবারের সদস্যদের ইগতপুরিতে পারভেজ তাকের সঙ্গেই সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল। লায়লা ছাড়া নিহত অন্যদের মধ্যে ছিলেন তার মা শেলিনা, ৩২ বছর বয়সী বড় বোন আজমিনা, ২৫ বছর বয়সী যমজ ভাইবোন জারা ও ইমরান এবং তার খালাতো বোন রেশমা।

ঘটনাটি তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশের সন্দেহ ছিল—মুম্বাইয়ের ওশিওয়ারায় অবস্থিত একটি ফ্ল্যাট ও একটি দোকান, মিরা রোডের আরেকটি ফ্ল্যাট এবং ইগতপুরির খামারবাড়িসহ গয়না, নগদ অর্থ ও সম্পত্তি দখল করার জন্য পারভেজই তাদের খুন করেছেন। লায়লার মা শেলিনার দ্বিতীয় স্বামী আসিফ শেখও অভিযোগ করেছিলেন, লায়লা ও তার বোনদের পতিতাবৃত্তিতে ঠেলে দিতে চেয়েছিলেন পারভেজ তাক।

পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের এক বছর আগে ২০১০ সালে আজমিনা, রেশমা ও জারা দুবাই গিয়ে পারভেজ তাকের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। কিন্তু তারা ভারতে ফিরে যাওয়ার পর তার সঙ্গে উপার্জনের অর্থ ভাগাভাগি করতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনার জের ধরে পারভেজের সঙ্গে ওই পরিবারের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, উপার্জনের ভাগ না দেওয়ার ঘটনাটি পারভেজকে অসন্তুষ্ট করেছিল। তাই তিনি লায়লার পরিবারকে পুরোপুরি শেষ করে দেওয়ার জন্য একজন পলাতক আসামির সঙ্গে পরিকল্পনা করেন। সেটি বাস্তবায়নের জন্য তারা ইগতপুরিতে অবস্থিত খামারবাড়িটিকেই বেছে নেন। সে অনুযায়ী, পলাতক আসামি শাকির হুসেন ওয়ানিকে ইগতপুরির খামারবাড়িতে প্রহরী হিসেবে নিয়োগ করেন পারভেজ।

২০১১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি লায়লাসহ পরিবারের সবাই, এমনকি পারভেজ তাকও ইগতপুরির খামারবাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় লায়লার মা শেলিনার সঙ্গে পারভেজের ঝগড়া হয় এবং পারভেজ একটি ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে শেলিনাকে আঘাত করলে তার মৃত্যু হয়। পরিবারের অন্য সদস্যরা সাহায্যের জন্য ছুটে এলে সেই প্রহরীর সহায়তায় পারভেজ বাকি পাঁচ ভাইবোনকেও ছুরি ও রড দিয়ে হত্যা করেন। পরে সবার মরদেহ কম্পাউন্ডে পুঁতে দেওয়া হয় এবং প্রমাণ নষ্ট করার জন্য বাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

২০১২ সালের জুলাই মাসে ওই খামারবাড়ি থেকে ছয়জনের দেহাবশেষ উদ্ধার করে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। গত ১৩ বছরে ৪০ জন সাক্ষীকে জেরা করার পর সম্প্রতি পারভেজকে দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত।

লায়লা খান ব্যক্তি জীবনে বিবাহিত ছিলেন। তার স্বামীর নাম মুনির খান। তিনি বাংলাদেশে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গী সংগঠন হরকাতুল জিহাদের সদস্য ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

এ বিভাগের আরো খবর

২১ জুন-23 অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান