আট বছর ধরে এই উৎসব চালিয়ে আসছেন তিনি। সমস্যা যেমন এসেছে, তেমন এসেছে সাফল্যও। ৮ বছর ধরে তাঁর মায়ের স্মৃতি বহন করেই এই অনুষ্ঠান করেন তিনি। তাঁর মা একটা সময়ে লিলুয়ায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করতেন। আর সেই দায়িত্বই এবার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন তিনি। ওপার বাংলার সঙ্গীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তী (Iman Chakraborty)। তবে হঠাৎ এমন কী হল যে সেই অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হলেন তিনি? সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বসন্ত উৎসব বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপারে নিজেই সিদ্ধান্ত জানালেন সঙ্গীতশিল্পী।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সদ্য একটি পোস্ট করে ইমন লিখেছেন, ‘এই বছর লিলুয়াতে বসন্ত উৎসব হচ্ছে না। কারণ হিসেবে জানাতে চাই, শেষ ৮ বছর ধরে আমরা লিলুয়াতে বসন্ত উৎসব করছিলাম। কিন্তু কিছু স্থানীয় মানুষজন প্রত্যেক বছর অনুষ্ঠানের শেষের দিকে এসে সমস্যা তৈরি করে গিয়েছেন। বেশ কিছু শিল্পীদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছেন। আমরা এর যোগ্য নই। এগুলি পাওয়ার আমাদের কথা নয়। এখানে যাঁরা খেটে অনুষ্ঠানটা করেন, তাঁরা একটা টাকাও নেন না। শিল্পীরাও নেন না। আমরা লিলুয়ার মানুষদের জন্যই অনুষ্ঠানটা করতাম। আমার মায়ের স্মৃতির উদ্দেশে করতাম। অনেক কষ্ট নিয়ে লিলুয়াতে অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছি। জানি এতে অনেকে খুশিই হবেন। তবে এটাও জানি যে কষ্ট পাবেন তার থেকে অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ। আমরা দুঃখিত। তবে এটাও জানিয়ে রাখছি, আমরা ফিরব। আরও বড় করে ফিরব।’
প্রত্যেক বছর রঙিন এক উৎসবের আয়োজন করতেন ইমন। নাচ ও গানের পাশাপাশি সেই অনুষ্ঠানে হত একটি প্রভাতফেরিও। গালে আবিরের ছোঁয়া আর গলায় গান.. এই ছিল বসন্ত উৎসবের বৈশিষ্ট্য। সারাদিন ব্যাপি চলত এই বসন্ত উৎসব। শিল্পীদের পাশাপাশি যোগ দিতেন সাধারণ এলাকার মানুষেরাও। তবে ইমনের এই পোস্টে মনখারাপের ছোঁয়া। জানিয়ে দিলেন, এই বছর হচ্ছে না বসন্ত উৎসব। তবে বসন্ত উৎসব নিয়ে তাঁর আগামী কোনও পরিকল্পনা আছে কি না, সেই কথা বিস্তারিত লেখেননি ইমন। কেবল তাঁর পোস্ট থেকে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে, এই অনুষ্ঠান তিনি বন্ধ করবেন না। ফিরিয়ে আনবেন আরও বড় করেই।
You must be logged in to post a comment.